রাহুল গান্ধী এবং জিশান সিদ্দিকি। —ফাইল চিত্র ।
ওজন কমালে তবেই রাহুল গান্ধীর দেখা মিলবে, নচেৎ নয়! তেমনটাই নাকি নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল কংগ্রেস বিধায়ক তথা মহারাষ্ট্রের প্রাক্তন মন্ত্রী বাবা সিদ্দিকির পুত্র জিশান সিদ্দিকিকে। আর তা নিয়েই সরব হয়েছেন তিনি। ঘটনাচক্রে, বুধবারই মুম্বই যুব কংগ্রেসের প্রধানের পদ থেকে সরানো হয়েছে জিশানকে। তার এক দিন পরেই দলের বিরুদ্ধে বৈষম্যের অভিযোগ এনে সরব হয়েছেন তিনি।
জিশানের অভিযোগ, ‘ভারত জোড়ো’ যাত্রার সময় রাহুল ঘনিষ্ঠ এক কংগ্রেস নেতা তাঁকে বলেছিলেন, রাহুলের সঙ্গে দেখা করতে হলে ১০ কেজি ওজন কমাতে হবে। কংগ্রেস সাংসদ জিশানের কথায়, “যখন আমি ভারত জোড়ো যাত্রায় অংশ নিয়েছিলাম, তখন রাহুল ঘনিষ্ঠ এক ব্যক্তি বলেছিলেন ‘প্রথমে ১০ কেজি ওজন কম করে আসুন, তার পর রাহুলের সঙ্গে দেখা করার সুযোগ পাবেন’। আমি একজন বিধায়ক, তখন মুম্বই যুব কংগ্রেসের প্রধান ছিলাম। তবুও আমার শরীর নিয়ে খোঁটা দেওয়া হয়েছিল।’’
জিশান আরও বলেন, ‘‘রাহুল ভাল নেতা। নিজের কাজ করেন। মল্লিকার্জুন খড়্গে আমার কাছে বাবার মতো। খড়্গেজি এত বর্ষীয়ান নেতা হওয়া সত্ত্বেও তাঁর হাত বাঁধা। রাহুলকে ঘিরে থাকা মানুষেরা কংগ্রেসকে ধ্বংস করছে। মনে হচ্ছে যেন কংগ্রেসকে শেষ করতে তারা অন্য দল থেকে টাকা নিয়েছে।” রাহুলের কাছের লোকেরা ‘খুবই দুর্নীতিগ্রস্ত’ বলেও মন্তব্য করেছেন জিশান। মুম্বইয়ের বিধায়কের দাবি, ‘‘রাহুল নিজে ভাল কাজ করছেন, কিন্তু তিনি বুঝতে পারছেন না যে তাঁর কাছের মানুষেরা কতটা অভদ্র।’’
কংগ্রেসের বিরুদ্ধে বৈষম্যের অভিযোগ আনার পাশাপাশি দল ছাড়ার ইঙ্গিতও দিয়েছেন জিশান। তাঁর কথায়, “গত সপ্তাহ পর্যন্ত আমি বলেছিলাম যে আমি কংগ্রেসের সঙ্গেই থাকব। কিন্তু কংগ্রেস যে ভাবে আচরণ করছে এবং যে ভাবে কাজ চলছে তাতে সব কিছু স্পষ্ট। মনে হচ্ছে কংগ্রেসের সংখ্যালঘুদের দরকার নেই, আমাদের দরকার নেই। আমাকেও অন্য রাস্তা দেখতে হবে। এটা খুবই দুর্ভাগ্যজনক।”
উল্লেখ্য, প্রায় পাঁচ দশক সঙ্গে থাকার পর চলতি মাসের শুরুর দিকেই কংগ্রেস ছাড়েন জিশানের বাবা, বাবা সিদ্দিকি। এর কয়েক দিন পরেই উপমুখ্যমন্ত্রী অজিত পওয়ারের এনসিপিতে যোগ দেন তিনি। জিশানও সেই পথেই হাঁটতে পারে বলে সূত্রের খবর।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy