ফাইল চিত্র।
বিজেপি-র সদ্য প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষকে নিয়ে এ বার আনন্দবাজার ফেসবুক লাইভে মুখ খুললেন বাবুল সুপ্রিয়। কিছু দিন আগে পর্যন্ত বাবুল বিজেপি-তেই ছিলেন। গত ১৮ সেপ্টেম্বর তিনি তৃণমূলে যোগ দেন। শনিবার পুরনো দলের রাজ্য সভাপতি সম্পর্কে বলতে গিয়ে বাবুল বলেন, ‘‘রাজনীতির লোকেদের দলে নেওয়ায় সমস্যা নেই। কিন্তু আমি জানতেই পারছি না, দিলীপদা আসানসোল গিয়ে কয়লা মাফিয়াদের দলে নিচ্ছেন। প্রকাশ্যে তার বিরোধিতা করেছি। আজ তাঁরা কোথায়?’’
বাবুল তাঁর বক্তব্যে স্পষ্ট করে দিয়েছেন, দিলীপকে রাজনৈতিক কারণে শ্রদ্ধা করলেও, তাঁর আলটপকা মন্তব্য মোটেও পছন্দ করতেন না তিনি। বিধানসভা ভোটে বিজেপি-র ভরাডুবির ক্ষেত্রেও দিলীপের এই সব মন্তব্যই দায়ী বলে মনে করেন বাবুল। তিনি বলেন, ‘‘মাননীয় মুখ্যমন্ত্রীকে বলছেন, গিয়ে বারমুডা পরুন! এ রকম মন্তব্যকে কী করে সমর্থন করব। দেখা হলে হাসিমুখে কথা হয়, কিন্তু সেই হাসিতে ব্যঙ্গ ঠাঁসা থাকে।’’
দিলীপ ২০১৫ সালে বিজেপি-র রাজ্য সভাপতি হন। বাবুল তারও এক বছর আগে আসানসোলে জেতেন এবং কেন্দ্রীয় মন্ত্রী হন। ফেসবুক লাইভে বাবুল বলেন, ‘‘দিলীপদা রাজনীতিতে আমার পরে এসেছেন। সেই অর্থে আমি ওঁর সিনিয়র। কিন্তু তবুও বলব, বাংলায় বিজেপি-কে এত দূর আনার ক্ষেত্রে ওঁর ভূমিকা আছে।’’ পাশাপাশি বিধানসভা ভোটে বিজেপি-র হতাশাজনক ফলের দিকে ইঙ্গিত করে বললেন, ‘‘ওঁর ভাষাবোধ কোনও দিনই ভাল লাগে না। দিলীপদা আলটপকা মন্তব্য না করলে ৭৭ কোথায় গিয়ে ঠেকত, তা ইতিহাস বিচার করবে।’’
সর্ব শেষ চাপানউতোরের সূত্রপাত কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা থেকে বাবুলের বাদ পড়ার খবর প্রকাশ্যে আসার পর। তৎকালীন রাজ্য বিজেপি সভাপতি দিলীপ সেই সময় বাবুল সম্পর্কে কটাক্ষ মিশিয়ে কিছু মন্তব্য করেন। যা ভাল ভাবে নেননি বাবুল। শনিবার সেই প্রসঙ্গে বাবুল বলেন, ‘‘প্রতি দিন একটা লোক পেনাল্টি বক্সের মধ্যে ফাউল করবেন, আমি কী করে তাঁকে সমর্থন করব?’’ সব মিলিয়ে ফুল বদলালেও দিলীপ-বাবুল দ্বন্দ্ব যে আগের মতোই বহাল, তা আসানসোলের সাংসদের বক্তব্যে স্পষ্ট।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy