বালিগঞ্জের বিধায়ক বাবুল সুপ্রিয়। ফাইল চিত্র
বিধানসভার নিজের প্রথম বক্তৃতায় গান গাইলেন বাবুল সুপ্রিয়। বৃহস্পতিবার বিধানসভা অধিবেশনের দ্বিতীয়ার্ধে কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় সংশোধনী বিলের সমর্থনে বক্তৃতা করতে ওঠেন তিনি। এটিই ছিল বিধায়ক নির্বাচিত হওয়ার পর বিধানসভায় তাঁর প্রথমবক্তৃতা। বালিগঞ্জের বিধায়কের বক্তৃতার মধ্যেই তৃণমূলে তাঁর সতীর্থ বিধায়করা গান শোনানোর দাবি তোলেন। পাশাপাশি খোঁচা দিয়ে বিরোধী দলবিজেপির বিধায়করা। তাতেও বিব্রত না হয়ে গান শোনালেন বিধায়ক বাবুল।
বাবুল বক্তৃতা শুরু করার সময় বিজেপি বিধায়করা জয় শ্রীরাম স্লোগান দেন। তাতে আমল না দিয়েই বক্তৃতা শুরু করেন তিনি। বক্তৃতা চলাকালীনই বাবুলকে তৃণমূল বিধায়করা অনুরোধ করেন গান শোনানোর। তাঁর বক্তৃতা শেষ হওয়ার পরে স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় গায়ক-বিধায়ককে অনুরোধ করেন। বাবুলকে উদ্দেশ্য করে বিমান বলেন, ‘‘অধিবেশনের সদস্যরা যখন গান শুনতে চাইছেন। তখন একটা গান হোক। আজ তো আবার ১৬ জুন। হেমন্ত মুখোপাধ্যায়ের জন্মদিন।’’ স্পিকারের অনুরোধ ফেলতে পারেননি বাবুল।
বালিগঞ্জের বিধায়ক বলেন, ‘‘আজ এত ভাল বিল এসেছে। তাতে আমার মনটাও চাই চাই করছে।’’ এমনটা বলেই গান শুরু করেন বাবুল। হেমন্ত স্মরণে তিনি গান করেন, ‘‘আমার মন বলে, চাই চাই চাই গো। যারে নাহি পাই গো।’’ এই সময় বিজেপি বিধায়করা আওয়াজ তোলেন, ‘‘বাবুলদা ওই গানটা হোক, এই তৃণমূল আর না।’’ বিজেপি বিধায়কদের এমন দাবি শুনে অবশ্য কোনও মন্তব্য করতে চাননি তিনি।
অন্যদিকে, বাবুল যখন বিধানসভার নিজের প্রথম বক্তৃতা শেষ করে গান ধরেছেন। তখন বিরোধী দলনেতার ঘরে বসেছিলেন রাজ্য বিজেপির প্রাক্তন সভাপতি দিলীপ ঘোষ। বাবুল বিজেপিতে থাকাকালীন দিলীপের সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক ছিল বন্ধুর। সেই বাবুলের গান বিরোধী দলনেতার ঘরেই বসে শুনলেন মেদিনীপুরের সাংসদ। বাবুল প্রসঙ্গে প্রশ্ন করায় দিলীপ বলেন, ‘‘মন্ত্রিত্ব চলে যাওয়ায় বাবুল দল ছাড়বেন আমি কখনও ভাবিনি।’’
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, Twitter এবং Instagram পেজ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy