গ্রাফিক: শৌভিক দেবনাথ।
প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ও আসানসোলের সাংসদ বাবুল সুপ্রিয় যে রাজনীতি ছাড়তে পারেন, এমন কথা জুলাইয়ের ১১ তারিখই লিখেছিল আনন্দবাজার অনলাইন। সেই কথাই সত্যি হল ঠিক ২০ দিনের মাথায়।
ফেসবুকে দীর্ঘ পোস্ট করে বাবুল জানালেন, তিনি রাজনীতি ছাড়ছেন। জুলাইয়ের শুরুতে আনন্দবাজার অনলাইনে প্রকাশিত সেই প্রতিবেদনে লেখা হয়েছিল, ‘কেন্দ্রীয় মন্ত্রিত্ব থেকে বাদ পড়ার পর কি রাজনীতিই ছেড়ে দিচ্ছেন বাবুল সুপ্রিয়? টানা সাত বছর সক্রিয় রাজনীতিতে (এবং কেন্দ্রীয় মন্ত্রিত্বে) থাকার পর কি রাজনীতি থেকে পুরোপুরিই বিদায় নিতে চলেছেন প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী? গত কয়েকদিনে তাঁর ব্যবহারিক গতিপ্রকৃতি দেখে তেমনই মনে হচ্ছে।’
কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর পদ থেকে তাঁকে সরিয়ে দেওয়ার পর বার বার নানা মহলে ক্ষোভ প্রকাশ করছিলেন বাবুল। সেই সময়ে বিজেপি-র রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের সঙ্গে তাঁর টানাপড়েনের বিষয়টিও হঠাৎ সামনে এসে পড়ে। মন্ত্রীত্ব ছাড়ার পর বাবুল যে ফেসবুকে পোস্ট করেছিলেন সেটি নিয়েও কটাক্ষ করেছিলেন দিলীপ। এ সবই লেখা হয়েছিল আনন্দবাজার অনলাইনের প্রতিবেদনে। সেই প্রতিবেদন প্রকাশের কয়েক দিন আগেই টুইটার বায়ো বদলেছিলেন বাবুল, আনন্দবাজার অনলাইন লিখেছিল, ‘একের পর এক ফেসবুক পোস্টে দলীয় নেতৃত্বের একাংশের প্রতি ক্ষোভ প্রকাশ তো বটেই, নিজের টুইটার বায়ো-তে যে ভাবে সামগ্রিক ভাবেই রাজনীতি থেকে নিজের দূরত্ব রচনা করেছেন বাবুল, তাতে তাঁর ‘তাৎপর্যপূর্ণ’ ইঙ্গিত ক্রমশ জোরালো জল্পনায় পরিণত হচ্ছে। পাশাপাশিই স্পষ্ট হচ্ছে রাজনীতি সম্পর্কে তাঁর বীতশ্রদ্ধা’।
শনিবার যে পোস্ট বাবুল শেয়ার করলেন, তা যেন এই গোটা ঘটনাক্রমের পরিসমাপ্তি। ফেসবুকে হেমন্ত মুখোপাধ্যায়ের ‘এক গোছা রজনীগন্ধা’ গানটি শেয়ার করে তার সঙ্গে একটি দীর্ঘ লেখাও জুড়ে দিলেন বাবুল। লিখলেন, ‘বেশ কিছু সময়ে তো থাকলাম। কিছু মন রাখলাম, কিছু ভাঙলাম। কোথাও আপনাদের হয়তো আমার কাজে খুশি করলাম, কোথাও নিরাশ, হতাশ করলাম। মূল্যায়ন আপনারাই নয় করবেন’।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy