Advertisement
১৬ মে ২০২৪
Ration Scam Case

সুদ ছাড়াই ন’কোটি! বালুর স্ত্রী, কন্যাকে কী ভাবে এত ঋণ দিলেন বাকিবুর? জেলে গিয়ে জেরা করবে ইডি

শনিবার রেশন মামলায় ধৃত বাকিবুরকে ব্যাঙ্কশাল আদালতে হাজির করানো হয়েছিল। সেখানেই ইডি জানায়, জ্যোতিপ্রিয়ের স্ত্রী এবং কন্যাকে সুদ ছাড়াই ন’কোটি টাকা ঋণ দিয়েছেন বাকিবুর।

Bakibur Rehman allegedly gave loan to wife and daughter of Jyotipriya Mallick without interest

(বাঁ দিকে) বাকিবুর রহমান। মন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক এবং তাঁর কন্যা প্রিয়দর্শিনী।(ডান দিকে)। —ফাইল চিত্র।

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ১১ নভেম্বর ২০২৩ ১৬:৪৪
Share: Save:

রেশন বণ্টনে ‘দুর্নীতি’কাণ্ডে ধৃত মন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক ওরফে বালুর স্ত্রী এবং কন্যাকে সুদ ছাড়াই মোটা টাকা ঋণ দিয়েছেন ব্যবসায়ী বাকিবুর রহমান। আদালতে তেমনটাই জানিয়েছে ইডি। তাদের দাবি, বাকিবুর মোট নয় কোটি টাকা মন্ত্রীর স্ত্রী, কন্যাকে ঋণ হিসাবে দিয়েছেন। তার জন্য সুদ নেওয়া হয়নি। এমনকি, সেই ঋণের জন্য বন্ধক হিসাবেও কিছু ছিল না। কী ভাবে এত টাকা সুদ ছাড়া ধার দেওয়া হল, সে বিষয়ে বিশদে জানতে বাকিবুরকে জেলে গিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করতে চায় কেন্দ্রীয় সংস্থা। আদালত সেই অনুমতি দিয়েছে।

শনিবার রেশন মামলায় ধৃত বাকিবুরকে ব্যাঙ্কশাল আদালতে হাজির করানো হয়েছিল। সেখানেই ইডি বিনা সুদে এই বিপুল ঋণের কথা জানায়। বাকিবুরকে আগামী ২২ নভেম্বর পর্যন্ত জেল হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে আদালত। জেলে গিয়ে তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আদালতের অনুমতি পেয়েছে ইডি। বিচারককে তারা জানিয়েছে, ঋণ সংক্রান্ত বিষয়ে আরও তথ্য জোগাড় করার জন্য বাকিবুরকে জেলের ভিতরে জিজ্ঞাসাবাদ করা প্রয়োজন।

ইডি আদালতে আরও জানিয়েছে, রেশনের চালের টাকা নয়ছয় করেছেন বাকিবুর। তা করার জন্য ভুয়ো কৃষকদের নামে ব্যাঙ্কে অ্যাকাউন্ট খুলেছেন। বেশ কয়েক জনকে কৃষক হিসাবে দেখিয়ে ওই অ্যাকাউন্ট খুলিয়েছেন বাকিবুর। এই অ্যাকাউন্টগুলিতেই যেত ধানের সহায়ক মূল্য। এমন বহু ভুয়ো ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের হদিস ইডি পেয়েছে। সে বিষয়েও বাকিবুরকে জিজ্ঞাসাবাদের প্রয়োজন আছে বলে মনে করছেন তদন্তকারীরা।

সাধারণ মিল মালিক এবং ব্যবসায়ী হলেও খাদ্য দফতরে অবাধ যাতায়াত ছিল বাকিবুরের। প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয়ের ঘনিষ্ঠ হিসাবেই পরিচিত তিনি। রেশন ‘দুর্নীতি’কাণ্ডে তাঁকে গ্রেফতার করার কিছু দিনের মধ্যে গ্রেফতার হন মন্ত্রীও। এর আগে ইডির তরফে দাবি করা হয়েছিল যে, বাকিবুরের সঙ্গে তাঁর কর্মীদের যে হোয়াট্‌সঅ্যাপ চ্যাট চালাচালি হয়েছিল, তা খতিয়ে দেখে তদন্তকারীরা জানতে পারেন যে, দু’দফায় জ্যোতিপ্রিয়কে মোট ৮০ লক্ষ টাকা দেওয়া হয়েছিল। বাকিবুরের কাছ থেকে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে ইডি জ্যোতিপ্রিয়কেও জিজ্ঞাসাবাদ করছে। মন্ত্রী এখনও ইডির হেফাজতেই রয়েছেন। তিনি বার বার দাবি করেছেন যে, তিনি নির্দোষ এবং ইডিও সে কথা বুঝতে পেরেছে। ১৩ তারিখ আবার জ্যোতিপ্রিয়কে আদালতে হাজির করানো হবে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE