বেশ কয়েকদিন ধরে অসুস্থ থাকার পরে, সোমবার দুপুরে রমনাবাগান মিনি চিড়িয়াখানায় মারা গেল এক পুরুষ ভালুক। বিতর্ক দেখা দিয়েছে পূর্ণবয়স্ক, বছর কুড়ির ভালুকটির মৃত্যু নিয়ে।
চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষের দাবি, বার্ধক্যজনিত কারণে বেশ কিছু দিন ধরে ভুগছিল ভালুকটি। অনেক চেষ্টা করেও বাঁচানো যায়নি। যদিও জেলার পশুপ্রেমিক সংগঠনের দাবি, ভালুকের গড় আয়ু ৪০ বছর। এটির বয়স ছিল ২০। তাছাড়া অতিরিক্ত গরমে পশুদের ঠিকমতো দেখভাল না হলে তারা কাহিল হয়ে পড়ে। এই ভালুকটির ক্ষেত্রেও সেটাই হয়েছিল কি না তা তদন্ত করে দেখার দাবি জানিয়েছেন তাঁরা।
রমনাবাগান সূত্রে জানা যায়, বছর দশেক আগে গলসির রাস্তা থেকে ভালুকটিকে উদ্ধার করে রমনাবাগানে জালে ঘেরা ছোট ঘরে রাখা হয়। চিতা চলে যাওয়ার পরে বড় ঘরে আনা হয় ভালুকটিকে। ঘরটির জালের উপর বোর্ডে বড় করে লেখা রয়েছে, একটি ভালুকের গড় বয়স ৪০ বছর। কিন্তু এ ক্ষেত্রে মেরেকেটে ২০ বছরেই মারা গেল ভালুকটি। রমনাবাগানের সম্পাদক তথা বর্ধমানের বিভাগীয় বন আধিকারিক দেবাশিস শর্মার দাবি, “পাঁচ-সাত দিন ধরে ভালুকটি খুবই অসুস্থ হয়ে পড়েছিল। কিছুই খাওয়া-দাওয়া করছিল না। অনেক চেষ্টা করেও বাঁচানো যায়নি।” তবে অত্যদিক গরম বা পশুদের অযত্নের কথা মানতে চাননি তিনি। দেবাশিসবাবুর কথায়, “আগেও ওই ভালুকটি কিছু খেত না। ঝিম হয়ে পড়ে থাকত। চিকিৎসা চলছিল।”
বর্ধমানের একটি পশুপ্রেমী সংগঠনের কর্ণধার তথা রমনাবাগানের পরামর্শদাতা কমিটির সদস্য তৃপ্তি মিত্রের অবশ্য দাবি, “আমাদের মনে হয় অত্যাধিক গরমে ভালুকটি মারা গিয়েছে। এই সময় ওদের প্রতিদিন দু’বেলা করে স্নান করানো প্রয়োজন। দেখভালের অভাব হলেই অসুবিধা হয়। এ ক্ষেত্রে ঠিক কী হয়েছিল, তা জানার জন্য তদন্তের প্রয়োজন রয়েছে।” এ দিনই ময়না-তদন্তের পরে রমনাবাগানের পুঁতে দেওয়া হয় ভালুকটিকে। দেবাশিসবাবু বলেন, “ময়না-তদন্তের রিপোর্ট এলে মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা যাবে।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy