—প্রতীকী ছবি।
জ্যৈষ্ঠের তীব্র দহনের মাঝেই দেখা মিলেছিল স্বস্তির বৃষ্টির। কিন্তু এরই মাঝে অঘটন। সোমের পরে মঙ্গলবারও পূর্ব বর্ধমানে বজ্রাঘাতে মৃত্যু হল তিন জনের। আহত হয়েছেন এক জন। মৃতদের নাম মন্টু সিংহ (৫৬), নিখিল ঘোষ (৬৩) এবং শেখ আবুল হায়াত (১৪)। আহতের নাম দুর্গা ক্ষেত্রপাল (৫৮)। আবুল বাদে বাকি সকলের বাড়ি বর্ধমান থানার কমলপুর ও মন্তেশ্বর থানা এলাকায়। আবুল ভাতারের বাসিন্দা। সে স্কুলছাত্র ছিল।
স্থানীয় সূত্রে খবর, মঙ্গলবার সন্ধ্যায় হঠাৎই ঝড়বৃষ্টি ও বজ্রপাত শুরু হয়। সেই সময়ে কমলপুরে মাঠে গরু চড়িয়ে বাড়ি ফিরছিলেন মন্টু ও দুর্গা। ঠিক তখনই একটি তীব্র বজ্রপাত হয় এবং মাটিতে লুটিয়ে পড়েন দু’জনই। মাঠে উপস্থিত অন্যান্য গ্রামবাসীরা তাঁদের উদ্ধার করে তড়িঘড়ি বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকেরা মন্টুকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। আশঙ্কাজনক অবস্থায় দুর্গা আপাতত সেখানেই চিকিৎসাধীন রয়েছেন। পাশাপাশি, মন্তেশ্বর থানা এলাকাতে বজ্রপাতে মৃত্যু হয়েছে নিখিল ঘোষ নামে এক ব্যক্তির।
অন্য দিকে, ভাতারের কাপশোড় গ্রামে বজ্রপাতে মৃত্যু হয়েছে এক স্কুলছাত্রের। জানা গিয়েছে, স্কুল থেকে বাড়ি ফিরে মাঠে গরু আনতে গিয়েছিল আবুল। কিন্তু বেশ কিছু ক্ষণ কেটে গেলেও সে বাড়ি না ফেরায় পরিবারের লোকজন তাঁকে খুঁজতে বেরোয়। গুরুতর আহত অবস্থায় তাঁকে উদ্ধার করে ভাতার গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।
উল্লেখ্য, সোমবার বিকেলে পূর্ব বর্ধমানে বজ্রাঘাতে পাঁচ জনের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে মঙ্গলকোটে চার জন এবং নাদনঘাটে এক জনের মৃত্যু হয়েছে। মঙ্গলবার বাঁকুড়াতেও বাজ পড়ে মৃত্যু হয়েছে তিন জনের।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy