Advertisement
E-Paper

পুলিশকে ‘মারধর’, গ্রেফতার আট জন

স্থানীয় বাসিন্দাদের একাংশের দাবি, কালীপুজোর আগে থেকে বিভিন্ন জায়গায় জুয়া খেলা শুরু হয়।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৭ ডিসেম্বর ২০২০ ০১:৩৫
—প্রতীকী  ছবি।

—প্রতীকী ছবি।

জুয়ার ঠেকে হানা দিতে গিয়ে সোমবার রাতে অণ্ডালের ধাণ্ডাডিহি গ্রামে আক্রান্ত হয় পুলিশ। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, এই ঘটনায় জড়িত অভিযোগে বুধবার সকাল পর্যন্ত আট জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ধৃতদের এ দিন দুর্গাপুর আদালতে হাজির করানো হলে তিন জনের পাঁচ দিন পুলিশ হেফাজত ও বাকিদের জেল হেফাজত হয়। পুলিশ জানায়, এই ঘটনায় জড়িত আরও দু’জনের খোঁজ চলছে। জখম এক পুলিশ কর্মীর চিকিৎসা চলছে দুর্গাপুরের বেসরকারি হাসপাতালে।

স্থানীয় বাসিন্দাদের একাংশের দাবি, কালীপুজোর আগে থেকে বিভিন্ন জায়গায় জুয়া খেলা শুরু হয়। নভেম্বর মাসের মধ্যে সে সব ঠেক উঠে যায়। কিন্তু পাণ্ডবেশ্বরে নিচুপাড়ায় অজয় নদের সেতুর পাশে, হরিপুর ছাতাডাঙায়, অণ্ডালের মুকুন্দপুরে কোলিয়ারি এলাকায়, হরিপুরে সিনেমা হলের কাছে, রানিগঞ্জের বল্লভপুরে, অমৃতনগর, জামুড়িয়ার চিঁচুড়িয়া মোড়ে কালী মন্দিরের পিছনে, ডোবরানা বাঁধপুকুরের পাড়ে, খাসকেন্দার বাসকা ধাওড়ায় বাড়িতে জুয়ার ঠেক বসছে। কোথাও জঙ্গলে, কোথাও ফাঁকা জায়গায় আসর বসছে। অভিযোগ, জুয়ার ঠেকের জেরে বহিরাগতদের আনাগোনা বাড়ছে। নষ্ট হচ্ছে এলাকার পরিবেশ। অথচ, প্রশাসন নির্বিকার।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ধাণ্ডাডিহি গ্রামের বাসিন্দাদের অভিযোগ, ঠাকুরকোদা কালীমন্দিরের কাছে দীর্ঘদিন জুয়ার আসর বসছে। সোমবার রাতের ঠেকে মারামারি থামাতে গিয়ে জখম হয়েছেন এক পুলিশকর্মী ও তিন জন সিভিক ভলান্টিয়ার। তাঁদের আরও অভিযোগ, এর আগে বিভিন্ন মহল খেকে পুলিশ-প্রশাসনের কাছে জুয়ার ঠেক বন্ধ করার আবেদন জানানো হয়েছে। কিন্তু কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। ফলে, ভয়ে প্রতিবাদ করার সাহস কেউ দেখাননি। সিপিএমের জেলা সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য প্রবীর মণ্ডলের অভিযোগ, শাসকগোষ্ঠীর (তৃণমূল) প্রত্যক্ষ মদতে জুয়ার ঠেক চলছে। তাই প্রশাসন পদক্ষেপ করতে পারছে না। ধাণ্ডাডিহিতে গ্রেফতার হওয়া সব দুষ্কৃতী তৃণমূলের সমর্থক বলেই পরিচিত। বিজেপির জেলা সাধারণ সম্পাদক ছোটন চক্রবর্তীর মন্তব্য, ‘‘জুয়ার কাটমানিও উপরতলায় পৌঁছে যাচ্ছে।’’ অভিযোগ অস্বীকার করে তৃণমূলের জেলার মুখপাত্র অশোক রুদ্র বলেন, “জুয়াড়িদের সঙ্গে তৃণমূল বা প্রশাসনের কোনও সম্পর্ক নেই। তা অণ্ডালের ধাণ্ডাডিহি গ্রামে প্রমাণ হয়ে গিয়েছে।” পুলিশের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ প্রসঙ্গে আসানসোল-দুর্গাপুর পুলিশ কমিশনারেটের এক আধিকারিক জানান, অভিযোগ পেলেই ব্যবস্থা নেওয়া হয়। এ ক্ষেত্রেও তা-ই হয়েছে।

Police Andal Arrest
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy