E-Paper

লক্ষ টাকা খরচে তৈরি প্রকল্প, তবু মেলে না জল

সূত্রের খবর, প্রায় ১ লক্ষ ৩৫ হাজার টাকা খরচ করে প্রকল্পটি তৈরি হয় ২০২২-২০২৩ অর্থবর্ষে। স্থানীয়দের একাংশ জানিয়েছেন, এই এলাকায় সকাল থেকে বহু মানুষ বাস ধরতে আসেন।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০২ অগস্ট ২০২৪ ০৯:১৯
বন্ধ হয়ে পড়ে জলপ্রকল্প।

বন্ধ হয়ে পড়ে জলপ্রকল্প। নিজস্ব চিত্র।

বাসযাত্রী ও স্থানীয় ব্যবসায়ীদের তৃষ্ণা মেটাতে তৈরি হয়েছিল জলপ্রকল্প। বসানো হয়েছিল সাব মার্সিবল পাম্প, পাইপ লাইন এবং তার সঙ্গে সংযোগকারী ট্যাপ কল। কিন্তু আজও সেই প্রকল্প থেকে জল মিলল না। কাঁকসার দার্জিলিং মোড়ে অযত্নে পড়ে রয়েছে প্রকল্প, অভিযোগ স্থানীয়দের। ত্রিলোকচন্দ্রপুর পঞ্চায়েত সূত্রে জানা গিয়েছে, বিদ্যুতের বিল মেটানোর দায়িত্ব কার, সেই সিদ্ধান্ত না হওয়ায় প্রকল্পটি চালু করা যায়নি।

সূত্রের খবর, প্রায় ১ লক্ষ ৩৫ হাজার টাকা খরচ করে প্রকল্পটি তৈরি হয় ২০২২-২০২৩ অর্থবর্ষে। স্থানীয়দের একাংশ জানিয়েছেন, এই এলাকায় সকাল থেকে বহু মানুষ বাস ধরতে আসেন। সড়কপথে দক্ষিণবঙ্গ থেকে উত্তরবঙ্গ অভিমুখী যানবাহন চলে দার্জিলিং মোড় দিয়ে। সারা দিন প্রায় শ’দুয়েক সরকারি ও বেসরকারি বাসও চলে। পাঁচশোর বেশি যাত্রী দার্জিলিং মোড় বাস স্ট্যান্ডে আসেন। এলাকায় দীর্ঘদিন ধরেই পানীয় জলের সমস্যা ছিল। যাত্রীদের অনেককেই দীর্ঘ সময় অপেক্ষা করতে হয় বাসের জন্য। তৃষ্ণা মেটাতে তাঁদের আশপাশের হোটেলে যেতে হয়। এই সমস্যার কথা মাথায় রেখেই জলপ্রকল্পটি গড়ে তোলা হয়।

স্থানীয় ব্যবসায়ীদের দাবি, মাত্র এক দিন সাব মার্সিবল চালানো হয়েছিল। সেই থেকেই বন্ধ অবস্থায় পড়ে আছে প্রকল্পটি। ট্যাপ কলগুলিও কেউ বা কারা ভেঙে ফেলেছে। নিত্যযাত্রী সুদেষ্ণা ঘোষ, কুন্তল মণ্ডল বলেন, ‘‘যে উদ্দেশ্যে প্রকল্পটি গড়ে তোলা হয়েছিল, তা পূরণ হয়নি। সরকারি অর্থের অপচয় করে কী লাভ হল কে জানে।’’ ত্রিলোকচন্দ্রপুর পঞ্চায়েতের উপপ্রধান প্রসেনজিৎ ঘোষ বলেন, ‘‘সাব মার্সিবলের বিদ্যুৎ বিল কারা মেটাবে, তা নিয়ে সমস্যা রয়েছে। তাই প্রকল্পটি চালু করা যায়নি।’’

(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)

Kanksa

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy