Advertisement
E-Paper

সোনা ফেরত কবে, প্রশ্ন তুলছেন ক্ষুব্ধ গ্রাহকেরা

গত ২৩ ডিসেম্বর সকাল ন’টা নাগাদ কোর্টমোড় লাগোয়া ওই শাখা- অফিসে ডাকাতি হয়। সংস্থার তরফে পুলিশে অভিযোগ করা হয়, গ্রাহকদের বন্ধক রাখা সোনা ও নগদ কয়েক লাখ টাকা দুষ্কৃতীরা লুঠ করেছে।

নিজস্ব দাতাসংবাদ

শেষ আপডেট: ২৭ ডিসেম্বর ২০১৭ ০০:৩২
প্রতীকী ছবি।

প্রতীকী ছবি।

আমাদের বন্ধক রাখা সোনার কী হবে?— মঙ্গলবার সকালে এই প্রশ্নকে সামনে রেখেই বিক্ষোভ দেখালেন একটি স্বর্ণঋণ সংস্থার আসানসোল শাখার গ্রাহকেরা। ডাকাতি হওয়া ওই শাখার সামনে আধিকারিক ও কর্মীদের সামনে বিক্ষোভ দেখানো হয়। পরে গ্রাহকদের দাবি মেনে, এ বিষয়ে আধিকারিকেরা লিখিত বিবৃতি দেওয়ার আশ্বাস দিলে বিক্ষোভ থামে।

গত ২৩ ডিসেম্বর সকাল ন’টা নাগাদ কোর্টমোড় লাগোয়া ওই শাখা- অফিসে ডাকাতি হয়। সংস্থার তরফে পুলিশে অভিযোগ করা হয়, গ্রাহকদের বন্ধক রাখা সোনা ও নগদ কয়েক লাখ টাকা দুষ্কৃতীরা লুঠ করেছে। এই খবর চাউর হতেই শতাধিক গ্রাহক ওই শাখার আধিকারিকদের সঙ্গে দেখা করতে চান। কিন্তু পুলিশের উপস্থিতিতে সে দিন তা সম্ভব হয়নি। ওই সংস্থার জিএম আরএম দেওয়ান জানিয়ে দেন, ওই শাখাটিতে আপাতত লেনদেন বন্ধ থাকবে। মাঝে দু’দিন ছুটির পরে এ দিন সকাল ন’টা নাগাদ কয়েক জন আধিকারিক ও কর্মী কাজে যোগ দিতে আসেন।

ততক্ষণে ওই অফিসের সামনে জড়ো হয়ে গিয়েছেন শতাধিক গ্রাহক। শাখার কর্তাদের দেখেই তাঁরা বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন। গ্রাহকেরা দাবি জানান, তাঁদের সোনা কী অবস্থায় আছে, কবে তা ফেরত দেওয়া যাবে তা লিখিত ভাবে জানাতে হবে। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বিক্ষোভও বাড়তে থাকে। অবস্থার সামাল দিতে কর্মী-আধিকারিকেরা ভিতর থেকে কোলাপ্সিবল গেট বন্ধ করে দেন। কিন্তু তাতে পরিস্থিতি তো নিয়ন্ত্রণ আসেইনি। উল্টে গেট ঝাঁকিয়ে শুরু হয় বিক্ষোভ। খবর দেওয়া হয় পুলিশে। কিন্তু পুলিশও এসেও অবস্থার সামাল দিতে পারেনি বলে স্থানীয় সূত্রে জানা যায়। বিক্ষোভকারীদের মধ্যে রবীন্দ্রনগর এলাকার বাসিন্দা শুক্লা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘‘আমার সোনা কী অবস্থায় আছে, তা জানার অধিকার আমার আছে। অথচ আধিকারিকেরা কিছুই জানাচ্ছেন না।’’ সিরাজ হাজরা নামে এক গ্রাহকেরও ক্ষোভস ‘‘ব্যবসায় টাকা খাটাব বলে সোনা বন্ধক রেখে ঋণ নিয়েছিলাম। কিন্তু সোনা ফেরত পাব কবে, সেটাই তো বুঝতে পারছি না।’’

বিক্ষোভ চলাকালীন এক আধিকারিক মৌখিক ভাবে গ্রাহকদের জানান, পুলিশ ঘটনার তদন্ত করছে। দশ দিনের মধ্যে তদন্তের গতিপ্রকৃতি পুলিশ জানাবে। তারপর গ্রাহকদের সঙ্গে আলোচনায় বসা হবে। কিন্তু মৌখিক কিছু শুনতে রাজি হননি বিক্ষোভকারীরা। আধিকারিকের ওই বক্তব্যই তাঁরা লিখিত ভাবে চান। অনেক টালবাহানার পর দুপুর দেড়টা নাগাদ লিখিত বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হলে বিক্ষোভ থামে।

আসানসোল-দুর্গাপুর পুলিশ কমিশনারেট এ দিন দাবি করে, তদন্তে নেমে সিআইডি অফিসারেরা বেশ কিছু তথ্য হাতে পেয়েছেন। তাঁরা ঝাড়খণ্ডের কিছু এলাকায় তদন্তের প্রয়োজনে যাবেন। তা নিয়ে কথাও চলছে ঝাড়খণ্ড পুলিশের সঙ্গে।

customers Agitation Gold loan
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy