এক রোগিণীর রক্ত, ইউএসজি, ইসিজি-র স্লিপ অন্য রোগিণীর পরিবারকে দেওয়া হল! আবার প্রশ্নের মুখে বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ এবং হাসপাতাল। কী ভাবে এক রোগিণীর রক্তের স্লিপ অন্য রোগিণীর আত্মীয়ের কাছে পৌঁছে গেল? তা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন।
দিন কয়েক আগেই এক রোগিণীর রক্ত অন্য রোগিণীকে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছিল এই বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজেই। সেই ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতে আবার বিভ্রান্তি। একই ওয়ার্ডের দুই রোগিণীর মধ্যে রক্তের স্লিপ হাতবদল হয়ে গেল! ঘটনাকে কেন্দ্র করে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে বর্ধমান মেডিক্যালে।
জানা গিয়েছে, এই ভুল ঘটেছে এইচসিসিইউ (১) বিভাগে। ওই ওয়ার্ডের ৫ নম্বর বেডে ভর্তি আছেন পূর্ব বর্ধমানের জামালপুরের পারাতলের দোলন মালিক। আর ৭ নম্বর বেডের রোগিণী গলসির উচ্চগ্রামের পুতুল বাগ। তিনি কিডনির সমস্যায় ভুগছেন। সেই সমস্যা নিয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। আর হাই সুগার, বমি ও পেটে ব্যথার সমস্যা নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন দোলন।
অভিযোগ, দোলনের নামে রক্ত, ইউএসজি, ইসিজি-র স্লিপ তাঁর আত্মীয়দের দেওয়া হয়। সেই স্লিপ নিয়ে ব্লাডব্যাঙ্কে রক্তের জন্য জমা দেয় তাঁরা। যদিও দাতা (ডোনার) না-থাকায় দোলনের স্লিপ নেয় বর্ধমান হাসপাতালের ব্লাডব্যাঙ্ক। তবে পরে জানা যায় ওই রক্তের ওই স্লিপ আদৌ দোলনের জন্য ছিল না। রক্তের দরকার ছিল পুতুলের!
দোলনের পরিবারের দাবি, গোলমালের বিষয়টি জানতে পেয়ে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়। তখন তাঁরা পুতুলের জন্য দেওয়া রক্তের স্লিপ জমা নিয়ে নেন। জানান, রক্তের প্রয়োজন নেই দোলনের! বার বার এ ধরনের ভুল প্রকাশ্যে আসায় প্রশ্নের মুখে পড়েছেন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
আরও পড়ুন:
দিন কয়েক আগে এই বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজেই রক্তাল্পতার রোগিণীর জন্য আনা রক্ত ভুল করে দিয়ে দেওয়া হয়েছিল সাপে কাটার রোগিণীর শরীরে। দু’জনের নামই ছিল নমিতা। তবে পদবি ভিন্ন। প্রায় এক সপ্তাহ বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজে চিকিৎসাধীন থাকার পর মৃত্যু হয় সেই সাপে কাটা রোগিণীর, যা নিয়ে তোলপাড় শুরু হয়। বিতর্কের মধ্যে পড়ে ভুল স্বীকার করেছিলেন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। সেই ঘটনার কয়েক দিনের মধ্যে আবার ভুল!
ভুক্তভোগী রোগিণীর পরিবারের দাবি এমন ভুল যাতে আর না ঘটে, সেই সংক্রান্ত ব্যবস্থা অবিলম্বে নিতে হবে। যদিও এই বিষয়ে হাসপাতালের সুপার তাপস ঘোষ জানান, স্লিপ-বদলের কোনও অভিযোগ পাননি। বিষয়টি নিয়ে খোঁজ নেবেন বলে জানান তিনি।