বর্ধমানের মেহেদিবাগানের পুজোয় লালকেল্লায় মমতা। ছবি: উদিত সিংহ।
২০২৪ সালে দিল্লির লালকেল্লায় পতাকা উত্তোলন করছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পাশে দাঁড়িয়ে রয়েছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। এমনই থিমে সেজেছে বর্ধমান শহরের একটি কালীপুজো। পুজোর সঙ্গে রাজনীতিকে জুড়ে দেওয়ার এই প্রবণতার সমালোচনা করেছে বিরোধীরা। পুজো কমিটির দাবি, তাঁরা সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির বার্তা দিতে চেয়েছেন।
বর্ধমানের মেহেদিবাগান বারোয়ারির শ্যামাপুজোর এ বার থিম, দিল্লির লালকেল্লা। লালকেল্লার গায়ে ইংরেজি বানানে লেখা হয়েছে ‘ইন্ডিয়া’। পুজো কমিটির সদস্য বাপি শর্মার দাবি, কেন্দ্রের বিজেপি সরকার দেশবাসীর মধ্যে শঙ্কা ছাড়া কিছু তৈরি করতে পারেনি। নানা জনবিরোধী নীতি মানুষকে বিপর্যস্ত করে তুলেছে। তার বিরুদ্ধে বাংলার মানুষ দীর্ঘদিন ধরে লড়াই চালাচ্ছেন। দিল্লির ক্ষমতা এ বার মমতা বন্দোপাধ্যায়ের হাতে যাক, এটাই চাইছেন তাঁরা। ‘ইন্ডিয়া’ নামের মধ্যে বিরোধীদের জোটের কথা তুলে ধরা হয়েছে। দেশের অনেক মনীষী, স্বাধীনতা সংগ্রামীর ছবিও রয়েছে মণ্ডপে। পুজো কমিটির দাবি, তাঁরা সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির বার্তা দিতে চেয়েছেন। কেন্দ্রে ক্ষমতাসীন দল গোটা দেশে জাতপাতের রাজনীতিকে উৎসাহ দিচ্ছে।
৭৭ বছরের পুরনো এই পুজোয় এ বার সভাপতি তৃণমূলের শ্রমিক নেতা ইফতিকার আহমেদ ওরফে পাপ্পু। তিনি আইএনটিটিইউসি-র প্রাক্তন জেলা সভাপতিও। বিরোধীদের দাবি, সে কারণেই এমন থিম করা হয়েছে। বিজেপির জেলা নেতা কল্লোল নন্দনের দাবি, ‘‘এটা অত্যন্ত ঘৃণ্য কাজ। বাংলার মানুষের আবেগকে আঘাত করা হয়েছে। তৃণমূল এ ভাবে কালীকে নিয়ে রাজনীতি করার জবাব ২০২৪-এর ভোটেই পাবে।’’
যদিও ইফতিকার আহমেদের দাবি, ‘‘কালীপুজোর দিন থেকে দুর্গাপুজোর মতো লাইন পড়ছে। মানুষ ঘণ্টাখানেক ধরে দাঁড়িয়ে প্রতিমা, মণ্ডপ দেখছেন। এটাই প্রমাণ, তাঁরা এই থিম ও ভাবনাকে গুরুত্ব দিয়েছেন।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy