ফাইল চিত্র।
ঘরের মাচা থেকে ঝুলছিল নাইলনের দড়ি। সেই দড়ি ধরে ঝুলতে গিয়ে গলায় ফাঁস লেগে মৃত্যু হল বছর সাতেকের এক শিশুর। বৃহস্পতিবার পূর্ব বর্ধমানের আউশগ্রামের গোপীনাথবাটি গ্রামে ঘটনাটি ঘটেছে। ঝুলন্ত অবস্থায় দেখে এক পড়শি শিশুটিকে হাসপাতালে নিয়ে গেলে তাকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসক। শিশুটির দেহ ময়নাতদন্তের পাঠানো হয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে খবর, শিশুর নাম রাজদীপ বাগদি। গ্রামের প্রাথমিক বিদ্যালয়ে দ্বিতীয় শ্রেণিতে পড়ে সে। রাজদীপের বাবা, ধনেশ্বর মা মন্দিরা পেশায় দিনমজুর। প্রত্যেক দিন সকালেই তাঁরা কাজে বেরিয়ে যান। বছর এগারোর দিদি মিতা স্কুলে যায়। দিগনগর উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়ে সপ্তম শ্রেণির ছাত্রী সে। দিদি স্কুলে যাওয়ার পর বাড়িতে একাই থাকে রাজদীপ। পাড়ার অন্য বাচ্চাদের সঙ্গে বাড়ির আশপাশে খেলাধুলো করে সে। বৃহস্পতিবারও তা-ই করছিল। তখনই এই দুর্ঘটনা ঘটে।
পড়শিরা জানান, রাজদীপের ঝুলন্ত দেহ প্রথম দেখেন ওই গ্রামেরই বাসিন্দা কিশোর বাগদি নামে এক ব্যক্তি। তিনিই ছুটে এসে দেখেন, ঘরের বারান্দায় মাচা থেকে ঝোলানো দড়ি গলায় পেঁচানো। ওই ভাবেই ঝুলছে রাজদীপ। আর নীচে রাখা রয়েছে শুকনো পাতা ভর্তি বস্তা। কিশোর তৎক্ষণাৎ ওই নাইলনের দড়ি কেটে রাজদীপকে নামিয়ে আনেন। এর পর পাড়া-প্রতিবেশীদের ডেকে শিশুর নিথর দেহ হাসপাতালে নিয়ে যান তিনি। সেখানে রাজদীপকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসকেরা। খবর দেওয়া হয় গুসকরা ফাঁড়ির পুলিশকেও।
ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে পুলিশের প্রাথমিক অনুমান, শুকনো পাতার বস্তার উপর দাঁড়িয়ে দড়ি ধরে ঝুলতে গিয়ে ওই ঘটনা ঘটে থাকতে পারে। পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, শিশুটির দেহ ময়নাতদন্তের জন্য বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজের পুলিশ মর্গে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্তের পরই মৃত্যুর আসল কারণ জানা যাবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy