নিজের মোমের মূর্তির সঙ্গে নিজস্বী দেবের। —নিজস্ব চিত্র।
খনি অঞ্চলে এসেছিলেন আগামী ছবির ‘শুটিং স্পট’ খুঁজতে। তারই মাঝে নিজের মোমের মূর্তির আবরণ উন্মোচন করলেন অভিনেতা-সাংসদ দেব ওরফে দীপক অধিকারী। মূর্তি দেখার পর আপ্লুত অভিনেতার মন্তব্য, ‘‘আমি শব্দ হারিয়ে ফেলেছি।’’
মঙ্গলবার পশ্চিম বর্ধমানের আসানসোলের মহিশীলা কলোনিতে এসেছিলেন তৃণমূল সাংসদ তথা অভিনেতা দেব। সন্ধ্যায় ঢুঁ দেন ভাস্কর সুশান্ত রায়ের ওয়াক্স মিউজিয়ামে। সেখানে নিজের মোমের মূর্তি উন্মোচন করেন ঘাটালের সাংসদ। সাদা টিশার্ট, জিন্স আর ডেনিমের জ্যাকেট পরিহিত নিজের মূর্তির পাশে দাঁড়িয়ে নিজস্বী তোলেন অভিনেতা। শিল্পী সুশান্ত রায়কে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, ‘‘স্বপ্নেও কোনও দিন ভাবিনি যে আমার মূর্তি তৈরি হবে।’’ ওই ওয়াক্স মিউজিয়ামে রয়েছে মুখ্যমন্ত্রী তথা দেবের দলের নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মোমের মূর্তি। সেটিও ঘুরে ঘুরে দেখেন দেব। তার পর বলেন, ‘‘সুশান্তবাবুকে অনেক ধন্যবাদ। কখনও কল্পনা করিনি যে আমার কোনও স্ট্যাচু হবে। কিছু দিন আগে সুশান্তদা আমার কাছে এসেছিলেন। বলেছিলেন তোমার একটা মূর্তি বানাতে চাই। বাংলা থেকে কারও যদি মূর্তি হয়, তোমার হওয়া উচিত। আমি বলেছিলাম, ‘অন্য কারও করো।’ কিন্তু উনি তৈরি করেই ছেড়েছেন। সুশান্তদা এবং ওঁর মেয়েকে অনেক ধন্যবাদ। আসলে আমি বলার মতো শব্দ হারিয়ে ফেলেছি। এই খুশি কোনও শব্দ দিয়ে বোঝাতে পারব না।’’
শিল্পী সুশান্ত জানান, দেবের মোমের মূর্তি তৈরির আগে সাংসদ-অভিনেতার বাড়িতে গিয়ে তাঁর অনুমতি নিয়েছেন। সেই সঙ্গে দেবের উচ্চতার মাপজোক নিয়ে এসেছিলেন। মূর্তিটি তৈরি করতে তাঁর দেড় মাস সময় লেগেছে।
মঙ্গলবার দুপুর ২টো নাগাদ দেব পাণ্ডবেশ্বর আসেন সড়কপথে। সেখান থেকে যান ইসিএল-এর শোনপুর বাজারি প্রজেক্টে। তার পর কুনুস্তরিয়া, বাঁশড়ার ভিউ পয়েন্ট থেকে তিনি খোলা মুখ খনি দেখেন। ভিড় এড়াতে খনি অঞ্চল অভিনেতার আসার খবর গোপন রাখা হয়েছিল। কিন্তু খবর ছড়িয়ে পড়তেই লোকজন আসতে থাকেন। তখন সেখান থেকে বেরিয়ে আসানসোলের জেকে নগরের পালোয়ান বাবার ধাবাতে চলে যান দেব। সেখানে খাওয়া দাওয়া করে আসানসোলে আসেন। মহিশীলা এলাকায় তাঁকে দেখতে ভিড় উপচে পড়ে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy