—প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।
বাড়ি থেকে বেরিয়েছিলেন গত ৮ জানুয়ারি। বলেছিলেন ‘পিকনিকে যাচ্ছি।’ তার পর থেকেই নিখোঁজ ছিলেন ১৮ বছর বয়সি তরুণ। অনেক খোঁজাখুঁজি করা হয়েছে। বিভিন্ন জায়গায় খোঁজখবর করেও ছেলেকে পাননি পূর্ণিমা দাস। মঙ্গলবার আচমকা খবর পেলেন যে, পাওয়া গিয়েছে ছেলেকে। তবে মৃত অবস্থায়। এক সপ্তাহ বাদে ছেলের পচাগলা দেহ দেখে ডুকরে কেঁদে উঠলেন তিনি। কী ভাবে তরুণের মৃত্যু হল, সেই রহস্য উন্মোচনে তদন্ত শুরু করেছে মুর্শিদাবাদের ফরাক্কা থানার পুলিশ।
পুলিশ সূত্রে খবর, মৃত তরুণের নাম পাপাই দাস। তাঁর নামে একটি নিখোঁজ ডায়েরি হয় ফরাক্কা থানায়। মঙ্গলবার ফরাক্কার গঙ্গার ঘাটের পাশে একটি ফিডার ক্যানেলের ধারে তাঁর দেহ উদ্ধার করে পুলিশ। কিন্তু কী ভাবে মৃত্যু হয়েছে, তা এখনও অজানা। মৃতের মা পূর্ণিমা বলেন, ‘‘গত ৮ই জানুয়ারি সন্ধ্যায় বাড়ি থেকে বেরিয়েছিল ছেলে। বলল, ‘পিকনিক করতে যাব।’ তার পরে আর ঘরে ফেরেনি। বাড়ির সবাই ওকে অনেক খোঁজাখুঁজি করেছি। কিন্তু কোথাও পাইনি। শেষে নিখোঁজ ডায়েরি করা হয় ফরাক্কা থানায়। আজ ছেলেকে পেলাম...।” বলতে বলতে কেঁদে ফেলেন পুত্রহারা মা।
ফরাক্কার নতুন এসডিপিও রাসপ্রীত সিংহ বলেন, “পরিবারের তরফে নিখোঁজ ডায়েরি করার পর পুলিশ খোঁজ চালাচ্ছিলই। সোমবার সন্ধ্যায় ফরাক্কার নিশিন্দ্রা নৌকা ঘাটের পাশে ফিডার ক্যানেলের ধারে একটি পচাগলা দেহ উদ্ধার করা হয়। নিখোঁজ ওই তরুণের পরিবারের লোকজন মৃতদেহ শনাক্ত করেছে।” পুলিশ জানিয়েছে, মঙ্গলবার দেহটি ময়নাতদন্তের জন্য জঙ্গিপুর সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। কী ভাবে ওই তরুণের মৃত্যু হল তা নিয়ে ধন্দে পরিবার। তদন্তে নেমেছে পুলিশ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy