E-Paper

আসানসোলে ডেঙ্গি আক্রান্ত ১২, উদ্বেগ

স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, জেলায় এই মুহূর্তে ১৮ জন ডেঙ্গি আক্রান্তের হদিস মিলেছে। এর মধ্যে গ্রামাঞ্চল ও দুর্গাপুর পুরসভা এলাকায় তিন জন করে আক্রান্ত হয়েছেন।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৩ জুলাই ২০২৪ ০৮:৪৯
—প্রতীকী চিত্র।

—প্রতীকী চিত্র।

শহরকে ডেঙ্গি শূন্য রাখতে বর্ষার মরসুম শুরুর অনেক আগেই প্রস্তুতি শুরু করা হয়েছিল, দাবি করেছেন আসানসোল পুরসভা কর্তৃপক্ষ। তার পরে এই পুর-এলাকায় এখনও পর্যন্ত ১২ জন ডেঙ্গি আক্রান্তের হদিস মিলেছে বলে পশ্চিম বর্ধমান জেলা স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে। পুরসভার স্বাস্থ্য আধিকারিক দীপক গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, “রিপোর্ট হাতে পেয়েই তৎপরতা বাড়ানো হয়েছে।” পুরসভা সূত্রে জানা যায়, বাড়ি বাড়ি গিয়ে ডেঙ্গির পর্যবেক্ষণ করার জন্য ১,৮০০ জন অস্থায়ী কর্মী নিয়োগ করা হয়েছে। তাঁরা মোবাইল অ্যাপ্লিকেশনের সাহায্যে দৈনন্দিন রিপোর্ট পুরসভার স্বাস্থ্য দফতরে পাঠাচ্ছেন। এ ছাড়া স্বাস্থ্য দফতরের অন্য পরামর্শ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।

স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, জেলায় এই মুহূর্তে ১৮ জন ডেঙ্গি আক্রান্তের হদিস মিলেছে। এর মধ্যে গ্রামাঞ্চল ও দুর্গাপুর পুরসভা এলাকায় তিন জন করে আক্রান্ত হয়েছেন। গত বছর আসানসোল পুরসভা এলাকায় প্রায় সাড়ে পাঁচশো জন ডেঙ্গি আক্রান্তে হদিস মিলেছিল। জেলায় আক্রান্তের সংখ্যা হাজার ছাড়িয়েছিল। মৃত্যু হয় তিন জনের। তাঁদের মধ্যে দু’জনই ছিলেন আসানসোল পুর-এলাকার বাসিন্দা। ইসমাইলের বাসিন্দা এক যুবক ও বার্নপুর পুরানহাটের বাসিন্দা এক প্রৌঢ়া। মারা গিয়েছিলেন জামুড়িয়ার নণ্ডীর এক ইটভাটার মহিলা শ্রমিক।

গত বছরের পরিসংখ্যান মাথায় রেখে এ বার বর্ষা শুরু আগেই আসানসোল পুর-এলাকাকে ডেঙ্গি শূন্য করার লক্ষ্যে নেমেছিলেন কর্তৃপক্ষ। স্বাস্থ্য দফতর সূত্রের খবর, জুলাইয়ের শুরু থেকে শহরে ডেঙ্গির হদিস মেলে। জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক (সিএমওএইচ) শেখ মহম্মদ ইউনুস বলেন, “প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করতে পুরকর্তৃপক্ষকে পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। জেলা স্বাস্থ্য দফতর পরিস্থিতি নজরে রেখেছে।” আসানসোল পুরসভার মেয়র পারিষদ (স্বাস্থ্য) দিব্যেন্দু ভগৎ বলেন, “এলাকায় প্রতিষেধক ছড়ানো, নিকাশি ও বর্জ্য সাফাই, জল জমা রোধে জোর দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি নাগরিকদের সচেতন করার কাজ চলছে।”

আসানসোল পুরকর্তৃপক্ষের দাবি, ডেঙ্গি রোধে বর্ষার মরসুম শুরু অন্তত এক মাস আগে থেকে নানা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছিল। কিন্তু এ বারও পুর-এলাকাকে ডেঙ্গি শূন্য রাখা গেল না। পুরসভা সূত্রে জানা গিয়েছে, গত বছর জুলাইয়ের তৃতীয় সপ্তাহে প্রথম ডেঙ্গি আক্রান্তের হদিস মিলেছিল। ২৫ জুলাইয়েরর প্রথম রিপোর্টে মাত্র ২০ জন ডেঙ্গি চিহ্নিত হন। এ বছর জুলাইয়ের দ্বিতীয় সপ্তাহেই ১২ জন আক্রান্তের হদিস মিলল। গত ২৮ অগস্ট আসানসোল পুর-এলাকায় ডেঙ্গি আক্রান্ত বেড়ে হয় ১০৮। এক মাসের মাথায় ২৩ সেপ্টেম্বর আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে হয় সাড়ে পাঁচশো। পরিস্থিতি এমন হয়ে দাঁড়ায় যে, ১৩ নম্বর ওয়ার্ডকে অত্যন্ত সংবেদনশীল ঘোষণা করা হয়। মেয়র বিধান উপাধ্যায় জানান, এ বার যাতে সেই পরিস্থিতি না হয়, তার মোকাবিলায় রূপরেখা তৈরি করে যাবতীয় ব্যবস্থা হয়েছে।

(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)

Asansol Dengue

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy