Advertisement
E-Paper

ধর্ষণ, গর্ভস্থ সন্তান নষ্টের অভিযোগ, ২০ বছর পর বেকসুর খালাস অভিযুক্ত কিশোর

বিয়েতেও রাজি না হওয়ায় গলসি থানায় অভিযোগ দায়ের করে কিশোরী। এর পরই ওই কিশোরের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে গ্রেফতার করে পুলিশ।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২১ জানুয়ারি ২০২২ ২৩:১৬

—প্রতীকী চিত্র

২০ বছর আইনি লড়াইয়ের পর ধর্ষণ, মিথ্যা প্রতিশ্রুতি ও গর্ভস্থ সন্তান নষ্ট করার মামলায় বেকসুর খালাস পেলেন অভিযুক্ত। ঘটনার সময় তিনি নাবালক ছিলেন। তাই মামলার বিচার হয় জুভেনাইল জাস্টিস বোর্ডে। বৃহস্পতিবার জুভেনাইল জাস্টিস বোর্ড ওই অভিযুক্তকে বেকসুর খালাস ঘোষণা করেছে।

২০০২ সালের ঘটনা। গ্রামেরই এক ১৬ বছর বয়সি কিশোরীর সঙ্গে প্রণয়ের সম্পর্কে থেকে মিথ্যে প্রতিশ্রুতি দিয়ে দিনের পর দিন তার সঙ্গে সহবাস করার অভিযোগ ওঠে গলসি থানার নূরকোনার বাসিন্দা ওই অভিযুক্ত কিশোরের বিরুদ্ধে। আরও অভিযোগ, কিশোরী অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার পর বিয়ের জন্য চাপ দেওয়ায় গর্ভস্থ সন্তানই নষ্ট করে দেয় ওই কিশোর প্রেমিক। বিয়েতেও রাজি না হওয়ায় গলসি থানায় অভিযোগ দায়ের করে কিশোরী। এর পরই ওই কিশোরের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে গ্রেফতার করে পুলিশ। পরে জামিনে ছাড়া পায় ধৃত।

তাঁর আইনজীবী রামেন্দ্রসুন্দর মণ্ডল বলেন, ‘‘বিচার ব্যবস্থার দীর্ঘসূত্রতা এই ঘটনায় দারুণ ভাবে সামনে এসেছে। মামলাটির বিচার প্রথমে ফাস্ট ট্র্যাক কোর্টে শুরু হয়। সেখান থেকে মামলাটি সল্টলেকে জুভেনাইল জাস্টিস বোর্ডে স্থানান্তরিত হয়। সেখানে কয়েক বছর মামলা চলে। মামলার নথি হারিয়ে যাওয়ায় বছর তিনেক শুনানি বন্ধ থাকে। তিন বছর পর নথি পাওয়া যায়। এর পর ফের শুনানি শুরু হয়। সেই সময় বর্ধমানে জুভেনাইল জাস্টিস বোর্ড ছিল না। বর্ধমানে জাস্টিস বোর্ড চালু হওয়ার পর মামলাটি সেখানে স্থানান্তরিত হয়। দীর্ঘ আইনি লড়াইয়ের পর অভিযুক্তকে বেকসুর খালাস ঘোষণা করেছে জুভেনাইল বোর্ড। বিচারব্যবস্থার দীর্ঘসূত্রতার কারণেই কয়েক বছর নষ্ট হল অভিযুক্তের। বিষয়গুলি নিয়ে সরকার এবং সর্বোচ্চ আদালতের ভাবনা-চিন্তা করা উচিত। তবে, বিচারে দেরি হলেও ন্যায় বিচার থেকে বঞ্চিত হননি অভিযুক্ত।’’

rape Crime
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy