পূর্ব বর্ধমানের মঙ্গলকোটের পালিশগ্রাম উত্তরপাড়া অবৈতনিক প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক সংখ্যা পাঁচ। তাঁদের সকলেই বিএলও। বাংলায় ভোটার তালিকার বিশেষ নিবিড় সমীক্ষা (এসআইআর)-র জন্য পাঁচ শিক্ষককে দায়িত্ব দেওয়ায় চিন্তায় পড়ে গিয়েছেন প্রায় ২০০ ছাত্রছাত্রীর অভিভাবকেরা। তাঁদের প্রশ্ন, ভোটার তালিকা সংশোধনের কাজ যত দিন চলবে, তত দিন কি স্কুলে পড়াশোনা বন্ধ থাকবে?
নানা রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে বাংলার মানুষের কাছে পরিচিত নাম মঙ্গলকোট। সেই মঙ্গলকোটের একটি অখ্যাত জায়গা পালিশগ্রাম। ওই গ্রামটির উত্তরপাড়ায় রয়েছে পশ্চিমবঙ্গ প্রাথমিক শিক্ষা সংসদ পরিচালিত অবৈতনিক প্রাথমিক বিদ্যালয়। স্কুল সূত্রে খবর, সেখানে পড়ুয়া সংখ্যা ২১২ জন। তাদের পাঠদানের জন্য রয়েছেন ৫ জন শিক্ষক। তা ছাড়া, স্কুলে মিডডে মিলের দেখভালের দায়িত্ব তাঁদের ঘাড়ে। ওই পাঁচ শিক্ষককেই ভোটার তালিকার বিশেষ নিবিড় সমীক্ষার কাজে লাগিয়েছে নির্বাচন কমিশন। এই পরিস্থিতিতে চিন্তিত অভিভাবকেরা।
স্কুলের প্রধানশিক্ষক জানিয়েছেন, গোটা বিষয়টি তিনি ‘উচ্চ কর্তৃপক্ষ’কে জানিয়েছেন। স্কুল চালানোর স্বার্থে দু’-এক জন শিক্ষককে যাতে বিএলও-র দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেওয়া যায়, সেই আর্জি জানিয়েছেন। তবে এখনও এ নিয়ে কোনও জবাব আসেনি। সহ-শিক্ষকেরা বলছেন, তাঁরা সকলে বিএলও হিসাবে দায়িত্ব সামলাতে চললে বেশ কিছু দিন তো অসুবিধায় পড়তেই হবে পড়ুয়াদের। মিডডে মিল-ই বা কী ভাবে পাবে তারা, তা নিয়েও প্রশ্ন রয়েছে।
আরও পড়ুন:
সমস্যার কথা জানার পরে মঙ্গলকোট ব্লকের বিডিও অনামিত্র সোম বলেন, “ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশ অনুযায়ী ওই শিক্ষকদের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। এ বিষয়ে আমার তো কিছু করার নেই।’’ জেলার প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের চেয়ারম্যান মধুসূদন ভট্টাচার্যের মন্তব্য, “পড়ুয়াদের স্বার্থে আমি বিষয়টি নিয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলব। অনুরোধ করব, যাতে ওই প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সব শিক্ষককে এসআইআরের কাজের জন্য তুলে না নেওয়া হয়।’’