—ফাইল চিত্র
রাজ্য তথা দেশ জুড়ে বিজেপি ‘গাঁধী সংকল্প যাত্রা’ কর্মসূচির আয়োজন করছে। মোহনদাস কর্মচন্দ গাঁধীর ১৫০তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে পশ্চিম বর্ধমানে গাঁধীর লেখা বই বিলির কর্মসূচি নিল তৃণমূল। যদিও দলের এই কর্মসূচি বিজেপির ‘পাল্টা’ নয়, এমনই দাবি করেছেন তৃণমূলের জেলা নেতৃত্ব।
জেলা তৃণমূল জানায়, জেলার যুব সম্প্রদায়কে গাঁধীর আদর্শ-জীবন সম্পর্কে অনুপ্রাণিত করতে তাঁর আত্মজীবনী ‘দ্য স্টোরি অফ মাই এক্সপেরিমেন্টস উইথ ট্রুথ’-এর বাংলা ও হিন্দি সংস্করণ প্রাথমিক ভাবে ১০ হাজার যুবক-যুবতীকে দেওয়া হবে। তৃণমূলের জেলা সভাপতি জিতেন্দ্র তিওয়ারি বলেন, ‘‘নভেম্বরের মধ্যে এই কাজ সেরে ফেলা হবে। বইয়ের মাধ্যমে বর্তমান প্রজন্ম গাঁধীর দর্শন ও জীবন সম্পর্কে জানতে পারবেন। সমসময়ে যা খুবই জরুরি।’’
তবে তৃণমূলের এই কর্মসূচির কথা সামনে আসার পরে ফের গাঁধীকে নিয়ে তৃণমূল-বিজেপি বিবাদ শুরু হয়েছে। বর্তমান কেন্দ্রীয় সরকারের গাঁধীকে শ্রদ্ধা জানানোকে কটাক্ষ করে ‘খুনি’ নাথুরাম গডসের প্রসঙ্গে বিজেপিকে বিঁধতে ছাড়ছে না তৃণমূল-সহ দেশের বিরোধী দলগুলি। গত লোকসভা ভোটের প্রচারে উত্তর ২৪ পরগনার হাড়োয়ায় গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও বলেছিলেন, ‘‘গাঁধীজির হত্যাকারী নাথুরাম গডসে যাঁদের নেতা, সেই রাজনৈতিক দলের ক্ষমতায় থাকা চলে না।’’
এই পরিস্থিতিতে জেলার রাজনৈতিক মহলের একাংশ এই কর্মসূচিকে বিজেপির পাল্টা হিসেবেই দেখছেন। যদিও জিতেন্দ্রবাবুর বক্তব্য, ‘‘আমরা পাল্টা কিছু বলছি না। তবে গাঁধীজিকে নিয়ে বড় বড় কথা বলছেন তাঁর খুনিরা। যুব সম্প্রদায় নিজেরাই সত্যিটা জানুন।’’ যদিও বিজেপি নেতা অমিতাভ বন্দ্যোপাধ্যায়ের বক্তব্য, ‘‘দেশে-বিদেশে গাঁধীজির আদর্শ ছড়িয়ে দিতে উদ্যোগী হয়েছে বর্তমান কেন্দ্রীয় সরকার। সারা দেশের মানুষ তা দেখছেন। রাজ্য ও এই জেলায় গণতন্ত্র বলে কিছু নেই। দৃষ্টি অন্য দিকে ঘোরাতেই তৃণমূলের এই কর্মসূচি।’’
তবে এই ‘বিবাদের’ মধ্যেও এই কর্মসূচির মাধ্যমে যুব সম্প্রদায়ের সঙ্গে দলের যোগাযোগ আরও নিবিড় হতে পারে বলে আশা তৃণমূল নেতৃত্বের একাংশের।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy