Advertisement
E-Paper

নিয়ম মেনে ধান কেনার দাবি চাষিদের

চালকল কর্তৃপক্ষের দাবি, চাষিদের প্রস্তাবগুলি আলোচনা করার জন্য তিন দিন সময় চাওয়া হয়েছিল। সে কথা শুনে চাষিরা উত্তেজিত হয়ে পড়েন। চাষিদের যদিও দাবি, চালকল কর্তৃপক্ষ ঠিক বলছেন না। পুলিশের সামনেই দু’পক্ষের বচসা শুরু হয়ে যায়।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৬ ডিসেম্বর ২০২০ ০২:৩২
চাণ্ডুলে চালকলে বিক্ষোভ। শনিবার দুপুরে। নিজস্ব চিত্র।

চাণ্ডুলে চালকলে বিক্ষোভ। শনিবার দুপুরে। নিজস্ব চিত্র।

সহায়ক মূল্যে ধান কেনা নিয়ে বর্ধমান ১ ব্লকের বেলকাশ পঞ্চায়েতের চাণ্ডুলের একটি চালকলে বিক্ষোভ দেখালেন চাষিরা। শনিবার দুপুরে বিক্ষোভ চলাকালীন দুর্গাপুর এক্সপ্রেসওয়ের ধারে ওই চালকলের দরজা ভেঙে ভিতরে ঢুকে, তাঁরা সব ইউনিটগুলি বন্ধ করে দেন বলে অভিযোগ। খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি সামাল দেয়।

চালকল কর্তৃপক্ষের দাবি, চাষিদের প্রস্তাবগুলি আলোচনা করার জন্য তিন দিন সময় চাওয়া হয়েছিল। সে কথা শুনে চাষিরা উত্তেজিত হয়ে পড়েন। চাষিদের যদিও দাবি, চালকল কর্তৃপক্ষ ঠিক বলছেন না। পুলিশের সামনেই দু’পক্ষের বচসা শুরু হয়ে যায়। পরে দু’পক্ষের সঙ্গে কথা বলে আলোচনা করে সমাধানের প্রস্তাব দেন বর্ধমান থানার তরফে আইসি পিন্টু সাহা।

বিডিও (বর্ধমান ১) মৃণালকান্তি বিশ্বাস বলেন, ‘‘আমার সঙ্গে আইসির কথা হয়েছে। সোমবার দুপুরে খাদ্য দফতর, চালকলের মালিকদের সংগঠন, চাষিদের প্রতিনিধিদের আলোচনায় ডাকা হয়েছে। প্রয়োজনে অতিরিক্ত কেন্দ্র খুলে সমবায়ের মাধ্যমে চাষিদের ধান কেনা হবে।’’

প্রতি বছরই ধান কেনা নিয়ে গলসির চালকলগুলির সঙ্গে চাষিদের সমস্যা হয়। এ বছরও মরসুমের শুরুতে সেই সমস্যা দেখা দিয়েছিল। জেলা প্রশাসন দ্রুত হস্তক্ষেপ করে ধান কেনা নিয়ে গলসি ১ ব্লকের বুদবুদে বৈঠক করে। এ বার ব্লকের সীমান্তবর্তী চাণ্ডুলেও বিক্ষোভের আঁচ ছড়াল।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, এ দিন বেলা সাড়ে ১০টা নাগাদ চাণ্ডুল, ঢোলনা, ফাগুপুর, ইউসুফাবাদ, মাটিয়াল-সহ সাতটি গ্রামের প্রায় আড়াইশো চাষি চালকলের দরজায় হাজির হয়ে সরকারের ‘নিয়ম’ মেনে ধান কেনার জন্য বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন। শেখ নওশাদ আলি, শেখ জুলফিদের অভিযোগ, ‘‘সরকারের নিয়ম মেনে ধান নিতে চাইছে না ওই চালকল। আবার এক দিনে ৩০ জনের বেশি চাষির কাছ থেকে ধান নেওয়া হবে না বলেও ফরমান জারি করেছে।’’ তাঁদের আরও দাবি, ‘‘গত বছরও চালকল কর্তৃপক্ষ একই ফরমান জারি করায় আমাদের প্রচুর ধান নষ্ট হয়ে গিয়েছিল। তার উপরে নিয়ম না মেনে প্রতি বস্তায় প্রায় সাড়ে পাঁচ কেজি ধান বাদ দেওয়া হচ্ছে।’’

ওই চালকলের মালিক তপন আগরওয়ালারও পাল্টা অভিযোগ, ‘‘প্রতি বছরই নানা অজুহাত দিয়ে চালকলে গোলমাল পাকানোর চেষ্টা করা হয়। চালকল যে ধান কেনে না, তা জেনেও সরকারের নিয়ম-নীতি উড়িয়ে ধান কেনার জন্য চাপ দেওয়া হয়।’’ বর্ধমান রাইস মিল ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের কার্যকরী সভাপতি আব্দুল মালেক বলেন, ‘‘কিছু ফড়ে নিজেদের স্বার্থে চাষিদের উত্তেজিত করে তোলেন। এই সমস্যা রাজ্যের মধ্যে শুধুমাত্র ওই এলাকাতেই দেখা যায়। এ ভাবে চললে চালকল চালানো মুশকিল।’’ বৈঠকে সমাধান মিলবে, আশা তাঁদের।

Bardhaman Agitation Farmers
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy