আসানসোল সংশোধনাগারে গণেশ পুজো করলেন অনুব্রত মণ্ডল। ফাইল চিত্র।
আসানসোল সংশোধনাগারে গণেশ পুজো করলেন অনুব্রত মণ্ডল। জেল সূত্রে খবর, পুজোর উপাচারে ছিল ধুপাকাঠি। আর প্রসাদ ছিল লাড্ডু। শারীরিক অসুস্থতার জন্য তাঁকে সংশোধনাগারের হাসপাতালে রাখা হয়েছে। সেখানেই বুধবার গণেশ চতুর্থী উপলক্ষে পুজো সেরেছেন তৃণমূলের বীরভূম জেলা সভাপতি। ওই সূত্রটির দাবি, তাঁর মতো জেলের অন্য বন্দিরাও গণেশ পুজো করেন।
সংশোধনাগারের একটি দেওয়ালে টাইলসের উপর বিভিন্ন দেবদেবীর ছবি রয়েছে। তাতে রয়েছে গণেশের ছবিও। গণেশ চতুর্থী উপলক্ষে সেই ছবিতেই পুজো দেন বন্দিরা। জেল সূত্রে খবর, বন্দিদের একাংশের পরিবাবের লোকজন সাতসকালে লাড্ডু, ধূপকাঠি এবং ফুল-সহ পুজোর অন্য সামগ্রী পৌঁছে দেন। তাতেই পুজো সারেন ওই বন্দিরা। পুজোর পর প্রসাদ হিসাবে বিলি করা হয় লাড্ডু। যদিও জেল কর্তৃপক্ষ এ রকম কোনও পুজোর কথা সরকারি ভাবে স্বীকার করেননি। তবে পুজো যে হয়েছে তা জানতে পেরেছেন বন্দিদের আত্মীয়স্বজনেরা।
জেল সূত্রে খবর, সংশোধনাগারের ভিতর অন্য বন্দিদের সঙ্গে ‘গল্পগুজব’ করেই অনুব্রতের দিন কাটছে। জানা গিয়েছে, বেশির ভাগ আলোচনা হয় রাজনীতি নিয়ে। বেশি ক্ষণ হাঁটাহাঁটি করতে পারেন না। তাই বেশির ভাগে সময় বসেই কাটান তিনি।
প্রসঙ্গত, কৌশিকী আমবস্যার দিন কালী-ভক্ত ‘কেষ্ট’ টিভিতেই তারপীঠের পুজো দেখেছেন। অন্যান্য বার ওই দিনটিতে তারাপীঠে যেতেন অনুব্রত। দীর্ঘ ক্ষণ গর্ভগৃহে বিগ্রহের সামনে দাঁড়িয়ে পুজো দিতেন। মাঝে এক বার পুজো দিয়ে গিয়ে আবেগপ্রবণ হয়ে করজোড় করে কেঁদেও ফেলতে দেখা গিয়েছে তাঁকে। তবে এ বার তেমন কিছু হয়নি।
বৃহস্পতিবার কলকাতায় আনা হবে অনুব্রতকে। ২০১০ সালে মঙ্গলকোট থানা এলাকার পুরনো একটি মামলায় তাঁকে বিধানগরের আদালতে সশরীরের হাজিরা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এই মামলাতেই বৃহস্পতিবার হাজিরা দিতে পারেন অনুব্রত। গরু পাচার মামলায় গত ১১ অগস্ট অনুব্রতকে গ্রেফতার করে সিবিআই। নিজাম প্যালেসে সিবিআই-এর দফতরে রেখে তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা। পরে তাঁর জেল হেফাজত হয়। শারীরিক অসুস্থতার জন্য অনুব্রত সংশোধনাগাগের হাসপাতালে রয়েছেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy