উদ্দেশ্য, রাজস্ব ঘাটতি মেটানো। তাই পুর-এলাকার যে সব নাগরিক সম্পত্তি কর জমা করেননি, তাঁদের চিহ্নিত করে বিজ্ঞপ্তি পাঠানো হবে। আগামী ডিসেম্বরে এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করা হবে। এমনটাই জানিয়েছে আসানসোল পুরসভা। পুর-কমিশনার খুরশিদ আলি কাদরির নেতৃত্বে এ বিষয়ে ইতিমধ্যে একটি উচ্চ পর্যায়ের বৈঠকও হয়েছে।
পুরসভা সূত্রে জানা গিয়েছে, গত অর্থবর্ষের শেষে প্রায় ৭০ কোটি টাকা রাজস্ব আদায় হয়েছিল। এর বেশিটাই এসেছিল সম্পত্তি কর থেকে। সর্বশেষ পাওয়া হিসেবে, চলতি অর্থবর্ষে এখনও পর্যন্ত রাজস্ব আদায় হয়েছে প্রায় ন’কোটি টাকা। অর্থবর্ষ শেষ হতে আর মাত্র চার মাস বাকি। এই সময়ের মধ্যে রাজস্ব ঘাটতি পূরণ হবে কি না, তা নিয়ে ধন্দে রয়েছেন পুর-কর্তৃপক্ষ। এই পরিস্থিতিতে সিদ্ধান্ত হয়েছে, পুরসভার ১০৬টি ওয়ার্ডের বাসিন্দাদের নথি ঘেঁটে দেখা হবে, কারা সম্পত্তি কর জমা করেননি। পুর-কমিশনার বলেন, ‘‘যাঁরা সম্পত্তি কর জমা করেননি, তাঁদের দ্রুত কর জমা দেওয়ার জন্য বিজ্ঞপ্তি পাঠানো হবে।’’
পুর-এলাকায় প্রায় দু’লক্ষ বাণিজ্যিক ও অবাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান থেকে সম্পত্তি কর আদায় করা হয় বলে পুরসভা সূত্রে জানা গিয়েছে। কিন্তু এ বার রাজস্ব আদায়ের এই পরিস্থিতি কেন? পুর-কর্তৃপক্ষের দাবি, করোনা অতিমারির প্রভাবেই এমনটা ঘটেছে। পুরসভার সুপারিন্টেন্ডিং ইঞ্জিনিয়ার সুকোমল মণ্ডল বলেন, ‘‘এই সময়ে বহু নাগরিক কাজ হারিয়েছেন। প্রায় সকলেরই আয় কমেছে। এর ফলে কর জমা করায় অনীহা দেখা দিয়েছে।’’ পাশাপাশি, সংক্রমণের ভয়ে কর্মীরা ঠিক মতো কাজ করতে না পারায় কর আদায়ে ভাটা পড়েছে। সুকোমলবাবু জানান, ইতিমধ্যে অনলাইনে ট্রেড লাইসেন্স নেওয়া হচ্ছে। ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানগুলিকে ট্রেড লাইসেন্স জমা করার জন্য শিল্পাঞ্চলের বণিক সংগঠনগুলিকে আবেদন করা হয়েছে।