Advertisement
E-Paper

সপ্তাহের গোড়াতেই দেরিতে ট্রেন, ক্ষোভ

রেল সূত্রে জানা গিয়েছে, পরিকাঠামোগত কিছু সমস্যা থাকায় দেরি হয়েছে।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৭ নভেম্বর ২০১৮ ০৩:০১
প্রতীকী ছবি।

প্রতীকী ছবি।

চালু হওয়ার পরে সপ্তাহের প্রথম ব্যস্ত দিনেই নির্ধারিত সময়ের চেয়ে অনেক দেরিতে পৌঁছল বর্ধমান-কাটোয়া রুটের তিনটি ট্রেন। ফলে কেউ অফিসে দেরিতে পৌঁছলেন, কাউকে ব্যাগ নিয়ে ফিরে আসতে হল বাড়ি। তার উপর স্টেশনে দাঁড়িয়ে দীর্ঘ অপেক্ষা তো রয়েছেই। নিত্যযাত্রীদের ক্ষোভ, এত দিনের দাবিদাওয়ার পরে পরীক্ষামূলক ভাবে ট্রেন চালানোর সিদ্ধান্ত হয়েছে। কিন্তু দু’দিন যেতে না যেতেই ট্রেনের এমন হাল হলে মুশকিল। রেল সূত্রে জানা গিয়েছে, পরিকাঠামোগত কিছু সমস্যা থাকায় দেরি হয়েছে।

গত বছর অগস্টে কাটোয়া-বর্ধমান শাখায় বড় রেল চলা শুরু হয়। প্রথমে বর্ধমান থেকে শ্রীখণ্ড পর্যন্ত একটি ট্রেন চলছিল। সম্প্রতি জানুয়ারিতে সেটি কাটোয়া পর্যন্ত সম্প্রসারণ করা হয়। তবে দিনে একটিমাত্র ট্রেন, তাও বিকেলে থাকায় কোনও উপকার হচ্ছিল না বলে অভিযোগ করছিলেন যাত্রীরা। ট্রেনের সংখ্যা বৃদ্ধির দাবিতে একাধিকবার ডেপুটেশন, কনভেনশন হয়। বর্ধমান থেকে বলগোনা পর্যন্ত আসা আরও পাঁচ জোড়া ট্রেনকে কাটোয়া পর্যন্ত চালানোরও দাবি জানানো হয়। শেষে গত বুধবার রাতে টুইটারের মাধ্যমে পূর্ব রেল জানিয়ে দেয়, এতদিন বর্ধমান থেকে বলগোনা পর্যন্ত চলা তিন জোড়া ট্রেনকে আগামী ২৩ নভেম্বর থেকে এক মাসের জন্য পরীক্ষামূলক ভাবে কাটোয়া পর্যন্ত চালানো হবে। কিন্তু শুরুতেই হোঁচট।

বর্ধমান থেকে ৭টা ২৫ মিনিটে ছেড়ে ৮টা ৩১ মিনিটে কাটোয়া পৌঁছে ফের ৮টা ৩২ মিনিটে ছেড়ে ৯টা ৩৮ মিনিটে বর্ধমানে পৌঁছনোর কথা একটি ট্রেনের। এ দিন কাটোয়া থেকেই ট্রেনটি ছাড়ে ৯টা ৫ মিনিটে। বর্ধমান পৌঁছয় ১০টা ২৪ মিনিটে। সপ্তাহের প্রথম দিন আধ ঘণ্টা দেরি ছাড়া এবং ৪৫ মিনিট দেরিতে পৌঁছনোয় মুশকিলে পড়েন অফিস যাত্রীরা। বিশেষ করে বর্ধমান থেকে ফের ট্রেনে যাঁরা আসানসোল বা দুর্গাপুর যান তাঁদের সমস্যা হয়। নিত্যযাত্রী মৌসুমী পাল, আশিস রায়দের ক্ষোভ, ‘‘নির্ধারিত সময়ে বর্ধমানে ট্রেন ঢুকলে আসানসোল লোকাল ধরতে পারতাম। কিন্তু বাসে করে যেতে হল। শুরু থেকেই এত দেরিতে চললে ট্রেন চালিয়ে লাভ কী?’’

পূর্ব রেল সূত্রে জানা যায়, বর্ধমান-কাটোয়া লাইনে তিন চারটি জায়গায় নির্ধারিত গতির থেকে কম গতিতে ট্রেন চালাতে হয়। যেমন, সকালের ইএমইউ-টি ঘণ্টায় ১০৫ কিলোমিটার পর্যন্ত গতি তুলতে পারলেও ঘন্টায় ৯০ থেকে ১৫ কিলোমিটার গতিতে চালাতে হয়েছে। গাঙ্গুলিডাঙায় লেভেল ক্রসিংয়ে দাঁড়ানোর পরে পতাকা দেখিয়ে সিগন্যাল হলে ট্রেন ছাড়া হয়। কাটোয়া-বর্ধমান রেলওয়ে যাত্রী কমিটির তরফে কিশোর দফাদার বলেন, ‘‘সিগন্যালিং ব্যবস্থা, ট্রেন চালুর পরিকাঠামো উন্নত করা হোক। না হলে নিত্যযাত্রীরা ওই ট্রেনে যাবেন কেন?’’

পূর্ব রেলের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক রবি মহাপাত্রের আশ্বাস, ‘‘আপাতত পরীক্ষামূলক ভাবে ট্রেনগুলি চলছে। চিফ ট্রান্সপোর্টেশন ম্যানেজারের নির্দেশে স্থায়ী ভাবে ট্রেন চালু হলে আশা করি সমস্যাগুলি মিটে যাবে।’’

Bardhaman-katwa train Train বর্ধমান-কাটোয়া
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy