Advertisement
২৫ এপ্রিল ২০২৪
Renu Khatun

Renu Khatun: ৪ জুন হাত কেটে নেন স্বামী, ১৭ দিন পর অদম্য রেণু যোগ দিলেন সেই নার্সের চাকরিতেই

রেণুকে সংবর্ধনা জানান স্বাস্থ্য দফতরের কর্মীরা। তিনি জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক প্রণব রায়ের কাছ থেকে কাজের দায়িত্ব বুঝে নেন।

রেণু খাতুন। ৪ জুন হাসপাতালে (বাঁ দিকে)। চাকরির পাওয়ার পর সংবর্ধনা (ডান দিকে)।

রেণু খাতুন। ৪ জুন হাসপাতালে (বাঁ দিকে)। চাকরির পাওয়ার পর সংবর্ধনা (ডান দিকে)। — নিজস্ব চিত্র।

নিজস্ব সংবাদদাতা
বর্ধমান শেষ আপডেট: ২১ জুন ২০২২ ১৬:৩৯
Share: Save:

হাসপাতাল থেকে ছাড়া পাওয়ার আট দিনের মাথায় নতুন লড়াই শুরু হল পূর্ব বর্ধমানের কেতুগ্রামের চিনিসপুরের বাসিন্দা রেণু খাতুনের। মঙ্গলবার দুপুরে পূর্ব বর্ধমান জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিকের দফতরে তিনি নার্স (গ্রেড-টু) হিসাবেই কাজে যোগ দেন। রেণুকে সংবর্ধনা জানান স্বাস্থ্য দফতরের কর্মীরা। এর পর তিনি জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক প্রণব রায়ের থেকে তাঁর কাজের দায়িত্ব বুঝে নেন।

কাজে যোগ দিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ধন্যবাদ জানিয়েছেন রেণু। তিনি মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করার ইচ্ছাও প্রকাশ করেছেন। নিষ্ঠার সঙ্গে কাজও করবেন বলে জানিয়েছেন। স্বাস্থ্য ভবন থেকে নতুন কোনও নির্দেশ না আসা পর্যন্ত রেণু আপাতত জেলা মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিকের দফতরে কাজ করবেন বলে জানিয়েছেন প্রণব।

২০১৭ সালের অক্টোবর মাসে পূর্ব বর্ধমানের কেতুগ্রামের চিনিসপুর গ্রামের বাসিন্দা আজিজুল হকের মেয়ে রেণু খাতুনের সঙ্গে কোজলসার শেখ মহম্মদের বিয়ে হয়। রেণু নার্সিং প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত। একাধিক বেসরকারি সংস্থায় কাজ করার পর তিনি সম্প্রতি রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরে নার্স পদে চাকরির পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছিলেন। সেই চাকরিতে যোগ দেওয়ার কথা ছিল। কিন্তু তা নিয়ে আপত্তি জানিয়ে আসছিলেন তাঁর স্বামী। অভিযোগ, রেণুর স্বামী তাঁর ডান হাতের কব্জি থেকে কেটে নেন গত ৪ জুন রাতে। এ নিয়ে থানায় অভিযোগ দায়ের করেন রেণুর বাবা। পুলিশ দু'দিনের মধ্যেই রেণুর স্বামীকে গ্রেফতার করে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Renu Khatun Nurse Job Domestic Violence
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE