সোমবার আবার বেলা ১১টা নাগাদ চৈতালির বাড়িতে যান তদন্তকারীরা। ফাইল ছবি।
আসানসোলে কম্বল বিতরণ কর্মসূচিতে পদপিষ্ট হয়ে তিন জনের মৃত্যুর ঘটনায় আবারও পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদের মুখোমুখি হলেন আসানসোল পুরসভার বিরোধী নেত্রী চৈতালি তিওয়ারি। গত শনিবারই বিজেপি নেতা জিতেন্দ্র তিওয়ারির স্ত্রী চৈতালিকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছিল পুলিশ। তার পর সোমবার আবার বেলা ১১টা নাগাদ তাঁর বাড়িতে যান তদন্তকারীরা। পুলিশ সূত্রে খবর, কলকাতা হাই কোর্টের নির্দেশ মেনে ঘণ্টা দুয়েক তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হতে পারে।
কম্বলকাণ্ডে মোট চার বার চৈতালিকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নোটিস ধরিয়েছিল পুলিশ। তার মধ্যে প্রথম দু’বার বিজেপি নেত্রী কোনও সাড়াই দেননি। এর পর শুক্রবার আবার জিতেন-চৈতালির বাড়িতে যায় পুলিশ। তাঁদের কারও দেখা না পেয়ে বাড়ির দরজায় নোটিস সাঁটিয়ে দিয়ে আসে। তার পরেই শনিবার তদন্তকারীদের মুখোমুখি হন চৈতালি। পুলিশ সূত্রে খবর, সোমবার তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে আসানসোল উত্তর থানার পুলিশ ছাড়াও দু’জন এসিপি, কমিশনারেটের গোয়েন্দা দফতরের পুলিশ-সহ ৭ জন আধিকারিক গিয়েছেন।
গত ১৪ ডিসেম্বর ওই কম্বল বিতরণ কর্মসূচিতে শুভেন্দু অধিকারীও উপস্থিত ছিলেন। সেখানে নিজের হাতে বেশ কিছু কম্বল বিতরণ করার পর বেরিয়ে যান রাজ্যের বিরোধী দলনেতা। এর পর কম্বল নেওয়ার জন্য হুড়োহুড়িতে তিন জনের মৃত্যু হয়। আহতও হন বেশ কয়েক জন। এ নিয়ে রাজ্য রাজনীতিতে শুরু হয় জোর চাপান-উতোর। কারণ, পুলিশ প্রশাসনের তরফে জানানো হয়, প্রশাসনের কাছ থেকে ওই সভার জন্য কোনও লিখিত অনুমতি নেওয়া হয়নি। এর পর এই ঘটনায় মামলা দায়ের হয়। মৃত ঝালী বাউড়ির পুত্র সুখেন অভিযোগ করেন আসানসোল উত্তর থানায়। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে ৬ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তাঁদের মধ্যে ডেকরেটর ব্যবসায়ী বিশু রজক এবং ‘চৈতালির ঘনিষ্ঠ’ বিজেপি কর্মী সৌরভ কুশহয়াকে জেল হেফাজতের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy