এমএএমসি কারখানা খুলবে কবে, প্রশ্ন তুলে হাইকোর্টে মামলা করেছিলেন শ্রমিক নেতা। বৃহস্পতিবার সেই মামলা উঠল বিচারপতি দীপঙ্কর দত্তের এজলাসে। সংশ্লিষ্ট সব পক্ষের আইনজীবীরা আদালতে আলোচনার জন্য আরও সময় চেয়ে নেন। জানুয়ারির দ্বিতীয় সপ্তাহে ফের শুনানি হবে বলে জানানো হয়েছে।
মূলত খনিতে ব্যবহৃত যন্ত্রপাতি তৈরির জন্য ভারী শিল্পমন্ত্রকের অধীনে ১৯৬৫ সালের এপ্রিলে চালু হয় এমএএমসি কারখানা। ১৯৯২ সালে সেটি ‘বোর্ড ফর ইন্ডাস্ট্রিয়াল অ্যান্ড ফিনান্সিয়াল রিকনস্ট্রাকশন’ (বিআইএফআর)-এর অধীনে চলে যায়। ২০০২-এর জানুয়ারিতে পাকাপাকি ভাবে কারখানা বন্ধ হয়ে যায়। কারখানা ফের চালু করতে চেয়ে ২০০৭ সালের ১ জুন তিন রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থা বিইএমএল, কোল ইন্ডিয়া লিমিটেড (সিআইএল) এবং ডিভিসি যথাক্রমে ৪৮ শতাংশ, ২৬ শতাংশ ও ২৬ শতাংশ হারে অংশীদারিত্বে কনসর্টিয়াম গড়ার জন্য ‘মৌ’ করে। হাইকোর্টে নিলামে সর্বোচ্চ একশো কোটি টাকা দর দিয়ে ২০১১ সালে এমএএমসি-র দায়িত্ব পায় কনসর্টিয়াম। কারখানার নতুন নাম হয় এমএএমসি ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড (এমএএমসিআইএল)। উৎপাদনের দায়িত্বে বিইএমএল, উৎপাদিত খনি যন্ত্রাংশের ক্রেতা সিআইএল এবং সিআইএলের তোলা কয়লার ক্রেতা ডিভিসি— এ ভাবেই এমএএমসি চালুর পরিকল্পনা রয়েছে কনসর্টিয়ামের। কিন্তু গত ছ’বছরে তিন সংস্থা মিলে একটি টাস্ক ফোর্স গড়া ছাড়া কারখানা খোলার কোনও উদ্যোগ নজরে আসেনি বলে অভিযোগ।
কারখানার আইএনটিইউসি অনুমোদিত ‘হেভি ইঞ্জিনিয়ারিং ওয়ার্কার্স ইউনিয়ন’-এর সাধারণ সম্পাদক অসীম চট্টোপাধ্যায় সম্প্রতি হাইকোর্টে ওই তিন সংস্থা ও তাদের মন্ত্রকের বিরুদ্ধে মামলা করেন। তাঁর অভিযোগ, বন্ধ কারখানার রক্ষণাবেক্ষণ, নিরাপত্তা, জল, বিদ্যুতের জন্য মাসে গড়ে ১২-১৪ লক্ষ টাকা ব্যয় হয়। কারখানা চালু না করে এ ভাবে দিনের পর দিন জনগণের করের টাকা অপব্যবহার করা যায় না। অসীমবাবুর কথায়, ‘‘কারখানা আদৌ খুলবে কি না তা নিয়ে ধোঁয়াশায় প্রাক্তন শ্রমিক-কর্মী থেকে উৎপাদিত সামগ্রী কিনতে ইচ্ছুক সংস্থা। এ ভাবে অনন্তকাল হাত গুটিয়ে বসে থাকতে পারে না কনসর্টিয়াম।’’
এ দিন হাইকোর্টে কনসোর্টিয়ামের তিন সংস্থা এবং এমএএমসিআইএল-এর আইনজীবীরা আদালতের কাছে সময় চেয়ে নিয়েছেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy