Advertisement
E-Paper

হাসপাতালে অবাধে ঘুরছে গরু-মোষ

আসানসোল জেলা হাসপাতালে নিত্য যাতায়াত করা মানুষজনের অভিযোগ, হাসপাতাল চত্বরে গবাদি পশুর বিচরণ বেড়েই চলেছে।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২১ জুলাই ২০১৯ ০৫:২০
আসানসোল জেলা হাসপাতাল চত্বরে। ছবি: পাপন চৌধুরী

আসানসোল জেলা হাসপাতাল চত্বরে। ছবি: পাপন চৌধুরী

হাসপাতাল চত্বরে ঢোকা-বেরোনোর রাস্তা থেকে জরুরি বিভাগের মূল ফটক। ট্রমা সেন্টারের সদর দরজা থেকে গাড়ি পার্কিংয়ের মাঠ। সর্বত্র চরে বেড়াচ্ছে গবাদি পশুর দল। কোনওমতে তাদের পাশ কাটিয়ে চিকিৎসা করাতে যাচ্ছেন রোগী ও তাঁদের পরিজনেরা। ওয়ার্ডে যাওয়া-আসার সময়ে একই সমস্যায় পড়ছেন চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীরাও। তাঁদের অনেকের অভিযোগ, হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য বারবার আবেদন জানিয়েও ফল হচ্ছে না।

আসানসোল জেলা হাসপাতালে নিত্য যাতায়াত করা মানুষজনের অভিযোগ, হাসপাতাল চত্বরে গবাদি পশুর বিচরণ বেড়েই চলেছে। সম্প্রতি এসবি গড়াই রোড থেকে ডান দিকে হাসপাতালের প্রথম গেটটি পেরিয়ে ঢুকেই দেখা যায়, একপাল মোষ পূর্ব প্রান্ত থেকে হেঁটে আসছে। সামনে কিছুটা এগিয়ে দেখা গেল, গাড়ি পার্কিংয়ের মাঠেও চরে বেড়েচ্ছে কয়েকটি গবাদি পশু।

এখানেই শেষ নয়। ট্রমা সেন্টারের সদর দরজা ও লাগোয়া জরুরি বিভাগ ও বহির্বিভাগের র‌্যাম্পে শুয়ে রয়েছে কয়েকটি গরু। রোগী ও তাঁদের পরিজনেরা সেগুলিকে কোনও ভাবে পাশ কাটিয়ে আসা-যাওয়া করছেন। তাঁদের অভিযোগ, নিত্য এই ভাবে যাতায়াত করতে হয়।’’ স্থানীয় বাসিন্দা পরেশ কর্মকারের কথায়, ‘‘এটা নতুন কিছু নয়। বহু দিন ধরেই গোটা হাসপাতাল চত্বর গবাদি পশুদের অবাধ বিচরণক্ষেত্র হয়ে উঠেছে। অথচ, হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কোনও হেলদোল নেই।’’

হাসপাতাল চত্বরে গবাদি পশু ঘুরে বেড়ানোর অভিযোগ স্বীকার করে সুপার নিখিলচন্দ্র দাস বলেন, ‘‘রোগী কল্যাণ সমিতির বৈঠকেও এই বিষয়টি নিয়ে একাধিক বার আলোচনা হয়েছে। বহু চেষ্টা করেও গবাদি পশুর প্রবেশ আটকানো যাচ্ছে না।’’ মাল্টি সুপার স্পেশালিটি বিভাগ চালু হওয়ার পরে হাসপাতালে প্রচুর নিরাপত্তারক্ষী নিয়োগ হয়েছে। তার পরেও কেন গবাদি পশুগুলিকে বার করে দেওয়া যাচ্ছে না? সুপারের দাবি, হাসপাতালের বহির্বিভাগ ও অন্তর্বিভাগ দেখভালের দায়িত্বে থাকা ওই রক্ষীদের দিয়ে অন্য কাজ করানো সম্ভব নয়।

সুপারের আরও দাবি, হাসপাতালের আশপাশে বেশ কিছু খাটাল আছে। সেখানকার গবাদি পশুগুলিই খাবারের সন্ধানে সকাল থেকে হাসপাতাল চত্বরে আনাগোনা করে। ওই খাটালগুলির মালিকদের সঙ্গে দেখা করে সতর্ক করা হবে বলে জানান তিনি।

Asansol Health
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy