ফাইল চিত্র।
বীরভূমের তৃণমূল জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলকে কেন ফোন করেছিলেন? সিবিআই-জিজ্ঞাসাবাদের মুখোমুখি হয়ে, এই প্রশ্নটাই প্রায় প্রত্যেককেই শুনতে হয়েছে, দাবি করলেন রবিবার দুর্গাপুর এনআইটি-তে তদন্তকারী সংস্থাটির অস্থায়ী শিবিরে আসা লোকজনেরা।
এ দিন অস্থায়ী শিবিরে হাজিরা দিতে আসেন বিভিন্ন জেলার তৃণমূল নেতা-কর্মী, ব্যবসায়ী, চিকিৎসক, কেব্ল অপারেটরও। সকাল ১০টা থেকে একে একে শিবিরে যান। হাজিরা দিতে আসেন বীরভূমের দুবরাজপুরে স্বর্ণ ব্যবসায়ী গৌতম সরকার। বেরিয়ে তিনি জানান, অনুব্রত মণ্ডলকে কেন ফোন করা হয়েছে, সে বিষয়ে জানতে চায় সিবিআই। তিনি বলেন, “বিধানসভা ভোটের ফলের পরে, অভিনন্দন জানাতে অনুব্রত মণ্ডলকে ফোন করেছিলাম।” নদিয়া থেকে আসা তৃণমূল কর্মী কবিরউদ্দিন শেখ জানান, রাজনীতির জন্যই অনুব্রতর সঙ্গে তাঁর পরিচয়। রাজনৈতিক কারণেই অনুব্রতকে ফোন করেছিলেন তিনি। সে কথা সিবিআইকে জানিয়েছেন তিনি।
ডাক পড়েছিল বীরভূমের রামপুরহাটের এক কেব্ল অপারেটর দীনেশ মণ্ডলেরও। অনুব্রতকে ফোন করার বিষয়েই তাঁকে সিবিআই জিজ্ঞাসাবাদ করেছে বলে দাবি দীনেশের। তিনি বলেন, “অনুব্রতবাবুর সঙ্গে আমার চেনা-পরিচয় রয়েছে। সে কারণে তাঁর সঙ্গে ফোনে কথা হয়। এই বিষয়টি সিবিআই আধিকারিকদের জানিয়েছি।” একই দাবি করেছেন বীরভূম জেলা তৃণমূল প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির সহ-সভাপতি প্রদীপকুমার মণ্ডল, হুগলির এক দাঁতের চিকিৎসক আনন্দময় ঘোষ, বীরভূমের এক তৃণমূল কর্মী মোশারফ আলি, কলকাতার এক ঠিকাদার কৌশিক ঘোষও। চিকিৎসক আনন্দময় বলেন, “সিবিআই আমার কাছে জানতে চান, অনুব্রত মণ্ডলকে কেন ফোন করেছিলাম। আমি বলি, ঠিক মনে নেই। তবে অভিনন্দন জানাতে ফোন করেছিলাম হয়তো।”
পাশাপাশি, এ দিন হাজিরা দিতে আসেন খয়রাশোলের তৃণমূল ব্লক সভাপতি কাঞ্চন অধিকারী। যদিও হাজিরা দিতে যাওয়ার সময় তিনি দাবি করেন, কী কারণে তাঁকে ডাকা হয়েছে, তা তিনি জানেন না। হাজিরা দেওয়ার পরে আর সাংবাদিকদের মুখোমুখি হননি তিনি।
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, Twitter এবং Instagram পেজ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy