E-Paper

উদ্ধার হয়নি রাজু খুনের অস্ত্র, চার্জ গঠনও বাকি

শক্তিগড়ে জাতীয় সড়কের পাশে ১ এপ্রিল গাড়ির ভিতরে বসা থাকার সময়ে দুষ্কৃতীদের গুলিতে খুন হন কয়লা কারবারি রাজু ঝা। জেলা পুলিশ ১২ জনের বিশেষ তদন্তকারী দল (সিট) গঠন করে।

সৌমেন দত্ত

শেষ আপডেট: ০৭ জানুয়ারি ২০২৪ ০৮:৩৮
মৃত রাজু ঝা।

মৃত রাজু ঝা। —ফাইল চিত্র।

ঘটনার ন’মাস পরেও কয়লা কারবারি রাজু ঝা খুনে ব্যবহৃত আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার করতে পারেনি পুলিশ। যার কাছে ওই অস্ত্র রয়েছে বলে তদন্তকারীদের একাংশের দাবি, বিহারের বৈশালীর সেই ব্যক্তিকে এখনও গ্রেফতার করা যায়নি। আবার, চার্জশিট পেশের ৫ মাস পরেও ধৃতদের বিরুদ্ধে চার্জ গঠন হয়নি। অভিযুক্তদের আইনজীবী চার্জ গঠনের বিরোধিতা করে দু’টি পিটিশন দাখিল করেন। ধৃতদের খালাস করার দাবি জানান তিনি। ৯ ফেব্রুয়ারি ওই পিটিশন নিয়ে শুনানি হবে বলে জানিয়েছেন বর্ধমানের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা বিচারক (পঞ্চম) দেবশ্রী হালদার।

এই মামলার সরকার পক্ষের আইনজীবী, কলকাতা হাই কোর্টের বিভাস চট্টোপাধ্যায় বলেন, “চার্জ গঠনের জন্য আদালতে আর্জি জানিয়েছিলাম। খসড়া চার্জও জমা দেওয়া হয়েছে। কিন্তু ধৃতদের আইনজীবী পিটিশন দাখিল করায় চার্জ গঠন পিছিয়ে শুনানির নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক।”

শক্তিগড়ে জাতীয় সড়কের পাশে ১ এপ্রিল গাড়ির ভিতরে বসা থাকার সময়ে দুষ্কৃতীদের গুলিতে খুন হন কয়লা কারবারি রাজু ঝা। জেলা পুলিশ ১২ জনের বিশেষ তদন্তকারী দল (সিট) গঠন করে। তদন্তে নেমে পুলিশ দুর্গাপুর থেকে দু’জনকে গ্রেফতার করে। সেই সূত্র ধরে বিহারের বৈশালীর লালবাবু কুমার, মুকেশ কুমার ও পবন কুমারকে গ্রেফতার করা হয়। তাদের বিরুদ্ধে বর্ধমান আদালতে ১৪ জুলাই চার্জশিট পেশ করেন তদন্তকারী অফিসার। পুলিশ জানায়, চার্জশিট পেশ করার কয়েক সপ্তাহের মধ্যে নদিয়ার রানাঘাটে একটি সোনার বিপণিতে ডাকাতি করতে এসে পুলিশের হাতে ধরা পড়ে যান বৈশালীর কুন্দন যাদব। পুলিশের দাবি, কুন্দনই রাজু ঝাকে কাছ থেকে গুলি করেছিল, সিসিটিভি ফুটেজ দেখে এমনটাই ধারণা। এর পরেই খুনের মামলায় কুন্দনকে গ্রেফতার করে শক্তিগড় থানা।

তদন্তকারীদের দাবি, খুনে ব্যবহৃত অস্ত্রের খোঁজ করতে গিয়ে জানা যায়, বৈশালীর বিধুপুরের বাসিন্দা রঞ্জন কুমারের কাছে ওই অস্ত্র রেখেছিল কুন্দন। রঞ্জনকে ধরতে বিহারে গিয়েছিলেন তদন্তকারীরা। কিন্তু সেখানে গিয়ে তাঁরা জানতে পারেন, অস্ত্র আইনে গ্রেফতার হয়ে হাজিপুর জেলে রয়েছে রঞ্জন। সেখানে গিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করে কয়লা কারবারি খুনে জড়িত থাকার বিষয়টি নিয়ে নিশ্চিত হওয়া গিয়েছে, দাবি তদন্তকারীদের। তবে তাঁকে হাজিপুর থেকে বর্ধমানে আনা নিয়ে আইনি টানাপড়েন চলছে বলে পুলিশ সূত্রের দাবি।

ধৃতদের আইনজীবী মোল্লা মহতাবউদ্দিনের দাবি, “এখনও পর্যন্ত ৭ জন গ্রেফতার হয়েছে। আগ্নেয়াস্ত্র আইনে মামলা হলেও, আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার হয়নি। ধৃতদের মধ্যে ৫ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট দেওয়া হয়েছে। চার্জশিটেও প্রচুর অসঙ্গতি রয়েছে।”

(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)

Bardhaman Raju Jha

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy