পুরসভার ৬ নম্বর বরো এলাকায় পুকুরঘাট পরিদর্শন। নিজস্ব চিত্র।
ছটপুজোর আগে সচেতনতা প্রচারে প্রশাসন
দুর্গাপুজো, কালীপুজো, দীপাবলির পরে, এ বার ছট। ছট উৎসব পালনের ক্ষেত্রেও সরকার নির্দেশিত স্বাস্থ্য-বিধি মেনে চলার বিষয়ে কঠোর পদক্ষেপ শুরু করছে জেলা প্রশাসন। যৌথ অভিযানে নেমেছে পুর-প্রশাসনও। শহরের বিভিন্ন এলাকায় ছটব্রতীদের জন্য চিহ্নিত পুকুর ও নদীঘাটগুলির সংস্কারও শুরু করেছে পুরসভা। প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, ভিড় নিয়ন্ত্রণের জন্য এক-একটি এলাকার ছটব্রতীদের ভিন্ন-ভিন্ন ঘাটে যাওয়ার ব্যবস্থা করা হচ্ছে। বাজি যাতে না পোড়ানো হয়, তা নিশ্চিত করতে ইতিমধ্যে প্রচারও শুরু করা হয়েছে।
এ বছর ছট পালিত হবে শুক্রবার বিকেলে ও শনিবার সকালে। আসানসোল শিল্পাঞ্চলে ছটব্রতীদের বেশি সমাগম হয় বার্নপুরে দামোদর নদে। আসানসোল ও বার্নপুরের বেশির ভাগ মানুষ প্রথমে সেখানে যেতে পছন্দ করেন। পরে যান আসানসোলের গাড়ুই নদী ও কালীপাহাড়ির নুনিয়া নদীতে। এ ছাড়া, আসানসোল ও বার্নপুরে প্রায় ২১টি পুকুরে ছট পালিত হয়। এ প্রসঙ্গে আসানসোল পুরসভার প্রশাসক বোর্ডের চেয়ারম্যান জিতেন্দ্র তিওয়ারি বলেন, ‘‘মানুষজন যাতে নির্বিঘ্নে উৎসব পালন করতে পারেন, সে জন্য বিশেষ কিছু ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। প্রশাসক বোর্ডের সদস্যদের এলাকা ভাগ করে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।’’
বার্নপুরে দামোদর নদে প্রায় ১২টি ছট-ঘাট তৈরি করা হয়েছে বলে সেখানকার দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রশাসক বোর্ডের সদস্য অশোক রুদ্র জানিয়েছেন। এ বারই প্রথম বার্নপুরে পুণ্যার্থীদের জন্য পৃথক কয়েকটি গাড়ি পার্কিংয়ের ব্যবস্থা করা হয়েছে।
এ দিকে, জেলা প্রশাসন ও পুরসভার ছাড়াও আসানসোল, দুর্গাপুরের একাধিক স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের পক্ষ থেকেও ছট-ঘাটগুলি সংস্কার করা হচ্ছে। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বার্নপুর, ডিসেরগড় ও বরাকরে দামোদর নদের বেশ কিছু এলাকা বিপজ্জনক রয়েছে। প্রশাসন সূত্রে জানানো হয়েছে, ছটব্রতীদের এ সব অঞ্চল থেকে দূরে রাখতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া, দামোদর ও বরাকর নদের বিভিন্ন এলাকায় সিভিল ডিফেন্সের দল মজুত করার পরিকল্পনা হয়েছে বলে জানিয়েছেন জেলা বিপর্যয় মোকাবিলা দফতরের নোডাল অফিসারতমোজিৎ চক্রবর্তী।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy