Advertisement
২৪ মার্চ ২০২৩

রাজ্যের হস্তক্ষেপ চাই, দাবি সিটুর

সিটুর জেলা নেতৃত্বের দাবি, জেলার অর্থনীতির জন্য এই তিন সংস্থা বাঁচিয়ে রাখা জরুরি। কিন্তু একক আন্দোলনে তা সম্ভব নয়। সে কারণে যৌথ শ্রমিক আন্দোলন গড়ে তোলা হচ্ছে।

দুর্গাপুরের অ্যালয় স্টিল প্ল্যান্ট বেসরকারিকরণের প্রতিবাদে সিটু।

দুর্গাপুরের অ্যালয় স্টিল প্ল্যান্ট বেসরকারিকরণের প্রতিবাদে সিটু।

নিজস্ব সংবাদদাতা
আসানসোল শেষ আপডেট: ১০ জুলাই ২০১৯ ০১:২৩
Share: Save:

রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থাগুলিকে বাঁচাতে রাজ্য সরকারের হস্তক্ষেপ দাবি করলেন পশ্চিম বর্ধমান জেলা সিটু নেতৃত্ব। চিত্তরঞ্জন রেল কারখানা, অ্যালয় স্টিল প্ল্যান্ট (এএসপি) এবং ইসিএলের বিভিন্ন খনি বেসরকারিকরণ যাতে না হয়, সেই আর্জি জানাতে বিধানসভার একটি সর্বদলীয় প্রতিনিধি দল দিল্লিতে পাঠানো প্রয়োজন বলেও দাবি সিটুর। মুখ্যমন্ত্রীকে এই আবেদন জানানোর পাশাপাশি আগামী দু’মাস এ নিয়ে সংগঠনের তরফে টানা আন্দোলন করা হবে বলে জানান নেতারা।

Advertisement

সিটুর জেলা নেতৃত্বের দাবি, জেলার অর্থনীতির জন্য এই তিন সংস্থা বাঁচিয়ে রাখা জরুরি। কিন্তু একক আন্দোলনে তা সম্ভব নয়। সে কারণে যৌথ শ্রমিক আন্দোলন গড়ে তোলা হচ্ছে। সিটুর জেলা সম্পাদক বংশগোপাল চৌধুরীর বক্তব্য, ‘‘এই আন্দোলন আরও জোরদার করে তুলতে আমরা চাই, মুখ্যমন্ত্রীর নেতৃত্বে বিধানসভার একটি সর্বদল প্রতিনিধি দল দিল্লি অভিযান করুক। প্রধানমন্ত্রী ও শিল্পমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করে রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থাগুলিকে বাঁচানোর দাবি জানাক ওই দল।’’ তাঁর দাবি, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এ বিষয়ে অগ্রণী ভূমিকা নেওয়া প্রয়োজন। তা না হলে রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থাগুলিকে বাঁচানো যাবে না। তাতে পশ্চিম বর্ধমান জেলার বড় ক্ষতি হবে। বংশগোপালবাবু বলেন, ‘‘আমরা জেলা কমিটির তরফে এ নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি পাঠাব।’’

দুর্গাপুরের অ্যালয় স্টিল প্ল্যান্টের কৌশলগত বিলগ্নিকরণ এবং চিত্তরঞ্জন রেল ইঞ্জিন কারখানাকে ‘কর্পোরেট’ করার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। শ্রমিক নেতাদের অভিযোগ, এ ভাবে হয় সংস্থাগুলি বন্ধ অথবা বেসরকারিকরণের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। ইসিএলের ১৬টি কোলিয়ারি বন্ধের প্রস্তাবও রয়েছে বলে অভিযোগ। এ সবের প্রতিবাদে আন্দোলনে শামিল হয়েছে শ্রমিক সংগঠনগুলি।

সিটুর প্রস্তাব প্রসঙ্গে তৃণমূলের জেলা সভাপতি তথা আসানসোলের মেয়র জিতেন্দ্র তিওয়ারির দাবি, ইতিমধ্যে মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে কেন্দ্রের ভ্রান্ত নীতির প্রতিবাদে আন্দোলন শুরু হয়েছে। সোমবার বারাবনির বিধায়ক বিধান উপাধ্যায়ের নেতৃত্বে চিত্তরঞ্জনে বিক্ষোভ হয়েছে। মঙ্গলবার এএসপি এবং কোলিয়ারি কার্যালয়গুলির সামনে বিক্ষোভ হয়েছে। এ ছাড়া সোমবারই রাজ্যের তৃণমূল সাংসদেরা এই দাবিতে রাজ্যসভা ও লোকসভায় ক্ষোভ জানিয়েছেন। নীতি প্রত্যাহারের দাবিতে সংসদের দুই কক্ষ থেকে ‘ওয়াক আউট’ও করেছেন সাংসদেরা।

Advertisement
(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, Twitter এবং Instagram পেজ)
Follow us on: Save:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE
Popup Close
Something isn't right! Please refresh.