তদন্ত চেয়ে পথে সহপাঠীরা। —নিজস্ব চিত্র।
দিন কয়েক আগেই যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ুয়ার ঝুলন্ত দেহ উদ্ধারের ঘটনায় পরিবার খুনের অভিযোগ করেন। এ বার সেই একই ঘটনা বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়েও। এ ক্ষেত্রে অভিযোগ, ইতিহাস বিভাগের ছাত্র শেখ রেজাউলের (২২) মৃত্যুর পরে খুনের অভিযোগ দায়ের হলেও পুলিশ তা ‘আত্মহত্যা’ হিসেবে দেখায়। এরপরে বুধবার প্রকৃত তদন্ত চেয়ে পথে নামলেন রেজাউলের সহপাঠীরা।
বর্ধমান থানার পুলিশ জানায়, গত শনিবার বর্ধমানের চাণ্ডুল গ্রামের বাসিন্দা রেজাউলের ঝুলন্ত দেহ মেলে সরাইটিকরে। পেশায় সিভিক ভলান্টিয়ার রেজাউল স্নাতকোত্তরের দ্বিতীয় বর্ষের পড়ুয়া ছিল। এ দিন তাঁর সহপাঠীরা অভিযোগ করেন, দেহ উদ্ধারের পরে রেজাউলের বাবা লিখিত ভাবে অভিযোগ করেন, ছেলেকে ফোন করে ডেকে খুন করে ঝুলিয়ে দেওয়া হয়েছে। অথচ পুলিশ একটি অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু করে।
এই অভিযোগে এ দিন সকালে গোলাপবাগ ক্যাম্পাস থেকে কয়েকশো পড়ুয়া মিছিল করে রাজবাটি ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ দেখান। সেখানে আধিকারিকদের স্মারকলিপি দিয়ে পড়ুয়ারা দাবি করেন, বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষও যেন ঠিক মতো তদন্তের দাবি জানান প্রশাসনের কাছে। পরে পড়ুয়ারা মিছিল করে জেলা প্রশাসনের আধিকারিকদের কাছেও স্মারকলিপি দেন। রামেশ্বর হাঁসদা, মৌমিতা কর্মকারদের বক্তব্য, ‘‘বন্ধুর মৃত্যুর পিছনে অন্য কোনও কারণ রয়েছে বলে আমাদের ধারণা। তাই নিরপেক্ষ তদন্তের দাবি জানাচ্ছি।’’ বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগের শিক্ষক তনভীর নাসরিন বলেন, “মৃত ছাত্রের বাবা লিখিত ভাবে খুনের অভিযোগ করেলেও পুলিশ রিপোর্টে কেন আত্মঘাতী লেখা হল? আমরাও চাই প্রকৃত তদন্ত হোক।”
যদিও জেলার পুলিশ কর্তাদের দাবি, ঘটনার দিন কোনও অভিযোগ জমা পড়েনি। মৃতের বাবাকে বারবার অনুরোধ করার পরেও পরিবার কোনও অভিযোগ দায়ের করেনি। সে জন্য অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা দায়ের করে তদন্ত শুরু হয়। প্রাথমিক ভাবে ঘটনাস্থলে ঝুলন্ত দেহ দেখে ও পারিপার্শ্বিক তদন্তে পুলিশকর্মীদের ধারণা হয়, ওই পড়ুয়া আত্মঘাতী হয়েছেন। বুধবার মৃতের বাবা খুনের অভিযোগ দায়ের করলেও তার কারণ সম্পর্কে অথবা কে বা কারা খুনে জড়িত, তাও জানাননি। আইসি শান্তনু মিত্র বলেন, “তথ্য মিললে আমরা ঠিক গ্রেফতার করব। তদন্ত শুরু হয়েছে।” এ দিন খুনের মামলা দায়ের করেছে পুলিশ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy