মাস খানেক আগে বর্ধমানের সর্বমঙ্গলা মন্দিরের কমিটির মাথায় তিনজন ‘স্পেশ্যাল অফিসার’কে নিয়োগের নির্দেশ দেয় জেলা আদালত। তাঁরা মন্দিরের কী কী কাজ করবেন তাও নির্দিষ্ট করে দেওয়া হয়। সম্প্রতি হাইকোর্ট বর্ধমান জেলা আদালতের ওই নির্দেশ খারিজ করে দিয়েছে। একই সঙ্গে ‘কো-অপ্ট’ সদস্য, বর্ধমান পুরসভার কাউন্সিলর খোকন দাসকেও মন্দিরের কাজ করা থেকে আপাতত বিরত থাকার নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্টের বিচারপতি। বর্ধমান জেলা আদালতের মুখ্য বিচারক পবনকুমার মণ্ডলের নির্দেশে যে তিন জনকে সর্বমঙ্গলা মন্দিরের বিশেষ আধিকারিক হিসেবে নিয়োগ করা হয়েছিল তাঁদের অন্যতম বর্ধমান বার অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক সদন তা। তিনি বলেন, “আদালতের নির্দেশে আমরা দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি নিয়েছি।”
মাস দু’য়েক আগে সর্বমঙ্গলা মন্দিরের কাজকর্ম ট্রাস্টের নিয়ম মেনে হচ্ছে না এবং ট্রাস্ট বোর্ডের সম্পাদক আশিসরঞ্জন দাশগুপ্তকে সরিয়ে খোকন দাসকে কো অপ্ট সদস্য করা নিয়ে বর্ধমান আদালতে দু’জন আইনজীবী মামলা করেছিলেন। সেই মামলার রায় দিতে গিয়ে বিচারক ট্রাস্টি বোর্ডের ক্ষমতা কেড়ে তিন জন আইনজীবীকে স্পেশ্যাল অফিসার নিয়োগ করেন। এই রায়ের বিরুদ্ধে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন ট্রাস্ট বোর্ডের কয়েকজন সদস্য। আইনজীবীরা জানিয়েছেন, দু’পক্ষের বক্তব্য শোনার পরে হাইকোর্টের বিচারপতি জানিয়েছেন, ট্রাস্ট বোর্ড গঠন হওয়ার পরে খুব তাড়াতাড়ি তাঁদের উপর স্পেশ্যাল অফিসার নিয়োগ করা হয়েছে। সে জন্য বিচারপতি স্পেশ্যাল অফিসারদের সরিয়ে দিতে বলেন এবং কো অপ্ট সদস্য খোকন দাসকেও আপাতত সর্বমঙ্গলা মন্দিরের কাজ করা থেকে বিরত থাকার নির্দেশ দেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy