এই নির্মাণকাজ নিয়েই বিতর্ক। বনবহালে। নিজস্ব চিত্র
পাশাপাশি দু’টি পুকুর ভরাট ও বেআইনি ভাবে নির্মাণ কাজ করার অভিযোগ উঠল এক রেশন ডিলারের বিরুদ্ধে। অন্ডাল উত্তর বাজারের বনবহালের ঘটনা। স্থানীয় বাসিন্দাদের একাংশের দাবি, অর্ধেকের বেশি অংশ ভরাট হয়ে গিয়েছে। প্রশাসনের কাছে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েও লাভ হয়নি। অভিযোগ অস্বীকার করেছেন রেশন ডিলার দশরথ সেন।
স্থানীয় বাসিন্দা ভৃগু যাদব, সাধন দত্ত, উজ্জ্বল মণ্ডলদের অভিযোগ, দশরথ সেন বেশকয়েক মাস আগে পুকুরের পাড়ে বেআইনি ভাবে নির্মাণ শুরু করেছেন। তার পরে তিনি পুকুর দু’টি ভরাট করার কাজ করছেন। সেখানে তিনি গাড়ি রাখারও ব্যবস্থা করেছেন। স্থানীয় সিপিএম নেতা মনোজ গুপ্ত জানান, দু’টি পুকুর একশো বছরের বেশি পুরনো। আগে এই দু’টি ব্যক্তিগত মালিকানাধীন ছিল। পরে সরকারি সম্পত্তি হয়ে যায়। তাঁর অভিযোগ, ২০১৭ সাল থেকে ভরাটের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। প্রথম দিকে ছাই (ফ্লাইঅ্যাস) ফেলে ভরাট শুরু হয়। মনোজের দাবি, “এই কাজ বন্ধ করতে, পরে এলাকার বাসিন্দাদের একাংশ অন্ডাল ব্লক ও জেলা প্রশাসন থেকে শুরু করে নবান্ন পর্যন্ত একাধিক বার সই সংগ্রহ করে অভিযোগপত্র পাঠান। তাতে সাময়িক কাজ বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। ফের ধীরে ধীরে ছাইয়ের উপরে মাটি ফেলে ভরাট শুরু হয়েছে।”
অভিযুক্ত রেশন ডিলার দশরথ অবশ্য দাবি করেন, “পুকুর পাড় লাগোয়া নিজের জায়গায় একটি ভবন নির্মাণ করেছি। তবে পুকুর কারা ভরাট করছে, আমার জানা নেই। সেটা দেখার দায়িত্ব প্রশাসনের।”
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, সম্প্রতি বাসিন্দাদের একাংশ দশরথের নাম পঞ্চায়েতে লিখিত অভিযোগ করেছেন। প্রধান সুধীন পাণ্ডের দাবি, “অভিযোগ পেয়ে কাজ বন্ধ করে দিয়েছি। এর পরে নির্মাণ শুরু হলে, ব্যবস্থা নেওয়া হবে।” অন্ডাল ব্লক ভূমি ও ভূমি সংস্কার আধিকারিক অভিজিৎ মণ্ডলের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে, তিনি ফোন ধরনেনি। মেসেজেরও জবাব দেননি। তবে বিডিও (অন্ডাল) সুদীপ্ত বিশ্বাস বিষয়টি খোঁজ নিয়ে দেখার আশ্বাস দিয়েছেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy