Advertisement
E-Paper

রেজিস্ট্রার পদে অবসরপ্রাপ্ত সুজিতের মেয়াদ বৃদ্ধিকে কেন্দ্র করে জটিলতা বর্ধমানে, উচ্চ শিক্ষা দফতরে চিঠি উপাচার্যের

বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে খবর, সুজিতের মেয়াদ বৃদ্ধিতে আপত্তি জানিয়েছেন উপাচার্য। তাঁর দাবি, সুজিত বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়ম মেনে কাজে যোগ দেননি। এমনকি, তাঁর উচ্চ শিক্ষা দফতরে চিঠি পাঠানোর কাজটিও বিশ্ববিদ্যলয়ের প্রথা মেনে হয়নি বলেও অভিযোগ উপাচার্যের।

আনন্দবাজার ডট কম সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ০২:২৬
বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়।

বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়। —ফাইল চিত্র।

অবসরপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার সুজিত চৌধুরীর মেয়াদ বৃদ্ধি এবং কাজে ফের যোগ দেওয়াকে কেন্দ্র করে জটিলতা বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ে। সরকারের এই সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে উচ্চ শিক্ষা দফতরের কাছে চিঠি পাঠালেন উপাচার্য গৌতম চন্দ্র।

বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে খবর, সুজিতের মেয়াদ বৃদ্ধিতে আপত্তি জানিয়েছেন উপাচার্য। তাঁর দাবি, সুজিত বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়ম মেনে কাজে যোগ দেননি। এমনকি, তাঁর উচ্চ শিক্ষা দফতরে চিঠি পাঠানোর কাজটিও বিশ্ববিদ্যলয়ের প্রথা মেনে হয়নি বলেও অভিযোগ উপাচার্যের।সুজিত যে দিন কাজে যোগ দিয়েছিলেন সেই দিন বিশ্ববিদ্যালয়ে উপস্থিত ছিলেন না তিনি, তাঁকে যে হেতু চার্জ বোঝানো হয়নি তাই তাঁর কাজে যোগ দেওয়াটা সঠিক নয়। তিনি চিঠিতে আরও জানান যে, কাজে যোগ দেওয়ার যে দাবি করা হয়েছে তা বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাক্ট এবং স্ট্যাটিউড মেনে হয়নি।

অন্য দিকে, সুজিত কাজে যোগ দেওয়ার বিষয়ে ডেপুটি সেক্রেটারিকে চিঠি দিয়ে জানিয়েছিলেন। দফতরের নির্দেশ মেনে যে তিনি কাজে যোগ দিয়েছেন তা চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে। সেই চিঠির কপি উপাচার্য, জেলাশাসক, পুলিশ সুপার, বর্ধমান থানার আইসি-সহ বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্য আধিকারিকদেরও পাঠানো হয়েছে বলে জানান সুজিত।

বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে আরও জানা গিয়েছে যে, চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে রেজিস্ট্রার পদ থেকে অবসর নেন সুজিত। তাঁর জায়গায় অস্থায়ী রেজিস্ট্রার হিসেবে কাজে যোগ দেন অধ্যাপক অরিজিৎ চট্টোপাধ্যায়। এমনকি, উপাচার্য তাকে তাঁর দায়িত্ব বুঝিয়ে দেন। এই অবস্থায় অবসরপ্রাপ্ত একজনকে আবার রেজিস্ট্রার পদে পুর্ণবহাল করাতেই জটিলতা সৃষ্টি হয়েছে। ২ সেপ্টেম্বর উচ্চ শিক্ষা দফতরের বিশ্ববিদ্যালয় শাখার উপসচিব ২০১৮ সালের একটি নির্দেশের কথা উল্লেখ করে সুজিতকে পুনরায় রেজিস্ট্রার পদে যোগ দেওয়ার জন্য নির্দেশ দেন। আর এতেই শুরু হয় মতানৈক্য। উপাচার্য চিঠি দিয়ে উচ্চশিক্ষা দপ্তরের কাছে বেশ কিছু প্রশ্নের ব্যাখ্যা চেয়েছেন। সেই সকল প্রশ্নের সদুত্তর না মেলা অবধি সুজিতের রেজিস্ট্রার পদে মেয়াদ বৃদ্ধি মানতে নারাজ উপাচার্য।

bardhaman university Bardhaman
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy