Advertisement
E-Paper

তহবিল থেকে অনুদান, আর্জি বিধায়কদের

বৃহস্পতিবার ওই চিঠি পাওয়ার পরে, মেমারির বিধায়ক নার্গিস বেগম তহবিল থেকে মেমারি গ্রামীণ হাসপাতাল ও পাহাড়হাটির মেমারি ২ ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রের জন্যে ১২ লক্ষ টাকা বরাদ্দ করেছেন।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৭ মার্চ ২০২০ ০২:৫৩
ছবি পিটিআই।

ছবি পিটিআই।

করোনাভাইরাস প্রতিরোধে চিকিৎসা-সংক্রান্ত সামগ্রী কিনতে জেলা প্রশাসনকে নিজেদের তহবিল থেকে দশ লক্ষ টাকা করে অনুদান দিয়েছেন পূর্ব বর্ধমান জেলার দুই বাম বিধায়ক। নিজের তহবিল থেকে বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের জন্য এক কোটি টাকা বরাদ্দ করেছেন বর্ধমান-দুর্গাপুরের বিজেপি সাংসদ সুরেন্দ্র সিংহ অহলুওয়ালিয়া। এ বার জেলার সব তৃণমূল বিধায়ককে চিঠি দিয়ে তাঁদের তহবিল থেকে অনুদানের আর্জি জানাল জেলা প্রশাসন।

পূর্ব বর্ধমান জেলা প্রশাসনের এক শীর্ষ-কর্তা বলেন, ‘‘করোনা প্রতিরোধে জেলার বিভিন্ন হাসপাতাল ও স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ‘পার্সোনাল প্রোটেক্টিভ ইকুইপমেন্ট’ (পিপিই) কেনা দরকার। সে জন্য জেলার যে বিধায়কেরা তহবিল থেকে টাকা বরাদ্দ করেননি, তাঁদের টাকা অনুমোদন করতে চেয়ে চিঠি দেওয়া হয়েছে।’’

তবে জেলার বেশ কিছু বিধায়ক জানান, তাঁরা আগেই নিজেদের বেতন থেকে মুখ্যমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিলে টাকা দিয়েছেন। বৃহস্পতিবার ওই চিঠি পাওয়ার পরে, মেমারির বিধায়ক নার্গিস বেগম তহবিল থেকে মেমারি গ্রামীণ হাসপাতাল ও পাহাড়হাটির মেমারি ২ ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রের জন্যে ১২ লক্ষ টাকা বরাদ্দ করেছেন।

জেলার বিধায়ক ও সাংসদের কাছে পাঠানো চিঠিতে অতিরিক্ত জেলাশাসক (উন্নয়ন ও স্বাস্থ্য) রজত নন্দ জানিয়েছেন, করোনা মোকাবিলায় ‘মাস্ক’, ‘স্যানিটাইজ়ার’, বিছানা, বালিশ, চাদর-সহ নানা সামগ্রী কিনতে হবে। রোগীদের প্রয়োজনে আরও ‘পিপিই’ কেনা দরকার। সে জন্য বিধায়ক বা সাংসদ উন্নয়ন তহবিল থেকে সাহায্য চাওয়া হচ্ছে। তৃণমূলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায় সব বিধায়ককে এই আবেদনে সাড়া দিতে বলেছেন।

বর্ধমান পূর্বের তৃণমূল সাংসদ সুনীল মণ্ডল বলেন, “কাটোয়া থেকে জামালপুর-রায়না পর্যন্ত আমার এলাকায় কোন হাসপাতালে, কী কিনতে কত টাকা লাগবে, স্বাস্থ্য দফতরকে তার হিসেব করতে বলা হয়েছে। তা পেলে প্রয়োজনমতো বরাদ্দ করা হবে।’’ বিধায়ক (বর্ধমান দক্ষিণ) রবিরঞ্জন চট্টোপাধ্যায় বলেন, “এখনও চিঠি পাইনি। বিধায়ক তহবিল প্রায় ফাঁকা। হিসেব করে দেখার পরে, বাকি টাকা করোনা প্রতিরোধে অনুমোদন করা হবে।’’ কাটোয়ার বিধায়ক রবীন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘‘এখনও আমি চিঠি পাইনি। পেলে সেইমতো পদক্ষেপ করব।’’

রাজ্যের মন্ত্রী তথা জেলা তৃণমূল সভাপতি স্বপন দেবনাথ বলেন, ‘‘বিধায়ক তহবিলে টাকা আছে কি না দেখতে হবে। তবে সব বিধায়ককে বলেছি, নিজেদের বেতন থেকে মাস্ক ও স্যানিটাইজ়ার কিনে এলাকায় বিলি করতে।’’

Coronavirus Health
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy