Advertisement
E-Paper

ভিড়ের জন্য আসছেন না বিক্রেতারা, বন্ধ বাজার

সোমবার বন্ধ ছিল দুর্গাপুরের সেন মার্কেট। বিপাকে পড়েন ক্রেতারা।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৭ এপ্রিল ২০২০ ০০:৩১
বন্ধ সেন মার্কেট। ফিরে যাচ্ছেন ক্রেতারা। নিজস্ব চিত্র

বন্ধ সেন মার্কেট। ফিরে যাচ্ছেন ক্রেতারা। নিজস্ব চিত্র

বাজারে আসা মানুষজনের মধ্যে নির্দিষ্ট দূরত্ব মানা হচ্ছে না। এ দিকে, দেশে করোনার সংক্রমণ ক্রমশ বাড়ছে। এই পরিস্থিতিতে সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসাবে আনাজ বিক্রেতারাই বাজারে আসা বন্ধ করে দিলেন। ফলে, সোমবার বন্ধ ছিল দুর্গাপুরের সেন মার্কেট। বিপাকে পড়েন ক্রেতারা। বাজার কমিটির তরফে দ্রুত বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করার আশ্বাস দেওয়া হয়েছে।

দুর্গাপুর স্টেশন সংলগ্ন সেন মার্কেট থেকে দুর্গাপুরের বিভিন্ন বাজার তো বটেই, অণ্ডাল, রানিগঞ্জের বিভিন্ন বাজারেও এখান থেকে আনাজ সরবরাহ করা হয়ে থাকে। আবার এই বাজারে তুলনামূলক কম দামে আনাজ পাওয়া যায় বলে দুর্গাপুরের অনেকেই সেন মার্কেটে ভিড় করেন।

‘লকডাউন’ ঘোষণা হওয়ার পরে, বাজার কমিটির পক্ষ থেকে মাইকিং ও জনে-জনে অনুরোধ করার পরেও পরিস্থিতি না বদলানোয় এক বার বাজার কমিটি বাজার বন্ধ করে দিয়েছিল। পরে প্রশাসনের মধ্যস্থতায় সমস্যা মেটে। ভিড় এড়াতে বাজারকে চার ভাগে ভাগ করে সরিয়ে দেওয়া হয়। তার পরেও ভিড় কমছে না। ক্রেতা-বিক্রেতা ও ক্রেতাদের নিজেদের মধ্যে কাঙ্ক্ষিত দূরত্ব বজায় থাকছে না বলে অভিযোগ উঠছে।

সোমবার থেকে তাই বাজারে আড়তদার ও আনাজ বিক্রেতারা আসা বন্ধ করে দেন। কিন্তু এ ভাবে বাজার বন্ধ করা যায় না? এক আনাজ বিক্রেতা বলেন, ‘‘আগে নিজে বাঁচব। তার পরে রোজগার। বাজারে যা পরিস্থিতি, তাতে এক জনের করোনা সংক্রমণ হলে তা ছড়িয়ে পড়তে দেরি হবে না। পরিস্থিতি না বদলানো পর্যন্ত আর বাজারে যাব না।’’ হঠাৎ বাজার বন্ধ হয়ে যাওয়ায় বিপাকে পড়েন ক্রেতারা। ঝুমা যাদব বলেন, ‘‘সপ্তাহে এক দিন বাজারে আসি। আনাজ নেই ঘরে। এসে দেখি, বাজার বন্ধ। ফিরে যাচ্ছি। কী রান্না হবে জানি না।’’ সুভাষ যাদবের অভিযোগ, ‘‘লোকে অযথা বাজারে ভিড় করে। নিয়ম মানে না। সরকার যা বলছে তা কেউ মানছেন না। তা হলে, ‘লকডাউন’ করে কী হবে?’’ তাঁর আক্ষেপ, ‘‘বাজারে এসে ফিরে যেতে হচ্ছে। ঘরে যা আছে তা-ই খেতে হবে।’’ ব্যবসায়ী সমিতির সম্পাদক তথা স্থানীয় ৪১ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর শিপুল সাহা বলেন, ‘‘ক্রেতাদের ভিড় নিয়ন্ত্রণ করা যাচ্ছে না। বিক্রেতারা এ দিন আসেননি। বাড়ি-বাড়ি গিয়ে যোগাযোগ করা হবে। যত দ্রুত সম্ভব সমস্যা মেটানোর চেষ্টা করা হচ্ছে।’’

(অভূতপূর্ব পরিস্থিতি। স্বভাবতই আপনি নানান ঘটনার সাক্ষী। শেয়ার করুন আমাদের। ঘটনার বিবরণ, ছবি, ভিডিয়ো আমাদের ইমেলে পাঠিয়ে দিন, feedback@abpdigital.in ঠিকানায়। কোন এলাকা, কোন দিন, কোন সময়ের ঘটনা তা জানাতে ভুলবেন না। আপনার নাম এবং ফোন নম্বর অবশ্যই দেবেন। আপনার পাঠানো খবরটি বিবেচিত হলে তা প্রকাশ করা হবে আমাদের ওয়েবসাইটে।)

Coronavirus
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy