প্রতীকী ছবি।
এ বার হোয়াটসঅ্যাপ করলেই করানো-পরীক্ষা করানোর সুযোগ পাবেন বর্ধমান শহরের বাসিন্দারা। সে জন্য হেল্ললাইন নম্বর চালু করল প্রশাসন। সেই সঙ্গে করোনা-সংক্রান্ত যাবতীয় প্রশ্নের উত্তর দিতে ‘কল সেন্টার’ খোলা হয়েছে জেলা স্বাস্থ্য দফতর ভবন ও নির্মীয়মাণ কৃষি ভবনের ‘সেফ হাউসে’।
জেলাশাসক (পূর্ব বর্ধমান) বিজয় ভারতী বলেন, ‘‘করোনা-আক্রান্তেরা সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে যাওয়ার পরেও তাঁদের নানা প্রশ্ন থাকে। কল সেন্টারে ফোন করে তাঁরা জবাব পাবেন। এ ছাড়াও করোনা-সম্পর্কিত নানা প্রশ্নের জবাব দেওয়া হবে।’’ বর্ধমানের সাধনপুরে নির্মীয়মান কৃষি ভবনেও ‘হেল্পলাইন’ চালু হয়েছে। সেখানে স্বাস্থ্য-কর্মীরা সংক্রমিত ব্যক্তির পরিজনদের জবাব দিচ্ছেন।
২২ অগস্ট থেকে বর্ধমান জেলা স্বাস্থ্য দফতরে ‘কল সেন্টার’টি চালু হয়েছে বলে বুধবার রাতে জেলাশাসককে চিঠি দিয়ে জানিয়েছেন জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক (সিএমওএইচ) প্রণব রায়। তিনি জানিয়েছেন, করোনা-আক্রান্ত পরিজনদের সঙ্গে সমন্বয়, সংক্রমিতদের ভর্তি, ছুটি সম্পর্কিত তথ্য, পরীক্ষা নমুনার ফল ‘কল সেন্টার’ থেকে জানা যাবে। এ ছাড়া, করোনা-সম্পর্কিত অভিযোগও জানানো যাবে। প্রণববাবু বলেন, “তিনটে শিফ্টে সাত জন প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত কর্মীকে ‘কল সেন্টার’ চালানোর দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।’’
প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, জেলা স্বাস্থ্য দফতর ও বর্ধমান পুরসভা যৌথ ভাবে শহরের বাসিন্দাদের নমুনা পরীক্ষা বাড়ানোয় উদ্যোগী হয়েছে। শহরের সংস্কৃতি লোকমঞ্চের অ্যানেক্সি ভবনে সরকারি কর্মীদের নমুনা সংগ্রহের জন্য কেন্দ্র খোলা হয়েছিল। সেখানেই শহরের বাসিন্দাদেরও নমুনা সংগ্রহ করা হবে বলে পুরসভা সূত্রে জানা গিয়েছে। বর্ধমান পুরসভার আধিকারিক জয়রঞ্জন সেন বলেন, ‘‘আমাদের হেল্পলাইনে কোনও নাগরিক নাম-ঠিকানা দিয়ে হোয়াটসঅ্যাপ করলে, বাকি ব্যবস্থা আমরা করব।’’ জেলা স্বাস্থ্য দফতরও শহরে প্রচারের সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
বর্ধমান থানার এক পুলিশকর্মীর করোনা-আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছে বীরভূমের সিউড়িতে জেলা হাসপাতালে মারা গিয়েছেন। তিনি ২৫ অগস্ট করোনা-পরীক্ষার নমুনা দিয়ে সিউড়িতে বাড়ি চলে গিয়েছিলেন। বুধবার শ্বাসকষ্ট নিয়ে সেখানেই হাসপাতালে ভর্তি হন। বৃহস্পতিবার তাঁর মৃ্ত্যুর পরে করোনা রিপোর্ট ‘পজ়িটিভ’ এসেছে। জেলা পুলিশ জানায়, বর্ধমান থানা জীবাণুমুক্ত করার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। ওই কনস্টেবলের প্রাথমিক সংস্পর্শে আসা ২২ জনের নমুনা পরীক্ষায় পাঠানো হয়েছে বৃহস্পতিবার।
(জরুরি ঘোষণা: কোভিড-১৯ আক্রান্ত রোগীদের জন্য কয়েকটি বিশেষ হেল্পলাইন চালু করেছে পশ্চিমবঙ্গ সরকার। এই হেল্পলাইন নম্বরগুলিতে ফোন করলে অ্যাম্বুল্যান্স বা টেলিমেডিসিন সংক্রান্ত পরিষেবা নিয়ে সহায়তা মিলবে। পাশাপাশি থাকছে একটি সার্বিক হেল্পলাইন নম্বরও।
• সার্বিক হেল্পলাইন নম্বর: ১৮০০ ৩১৩ ৪৪৪ ২২২
• টেলিমেডিসিন সংক্রান্ত হেল্পলাইন নম্বর: ০৩৩-২৩৫৭৬০০১
• কোভিড-১৯ আক্রান্তদের অ্যাম্বুল্যান্স পরিষেবা সংক্রান্ত হেল্পলাইন নম্বর: ০৩৩-৪০৯০২৯২৯)
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy