Advertisement
E-Paper

গাজনে ফাঁকাই জেলার নানা মন্দির, সাহায্য মন্ত্রীর

কাটোয়া শহরের ঘোষেশ্বরতলা শিবমন্দির, দিঘিরপাড়, খ্যাপাকালীতলা, শ্মশানঘাট, মণ্ডলহাট, দাঁইহাটের বড়কালীতলা, শবশিব মন্দির চত্বরে প্রতি বছরই গাজন উপলক্ষে ভিড় হয়।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৩ এপ্রিল ২০২০ ০৩:০৭
কাটোয়ার খাজুরডিহিতে ফাঁকা মন্দির চত্বর। রবিবার। নিজস্ব চিত্র

কাটোয়ার খাজুরডিহিতে ফাঁকা মন্দির চত্বর। রবিবার। নিজস্ব চিত্র

নিয়মরক্ষা করেই গাজন উৎসব হল জেলার নানা জায়গায়।

‘লকডাউন’-এর জেরে যে কোনও ধরণের জমায়েত বন্ধ। বন্ধ ধর্মীয় স্থানে ভিড়, উৎসবও। গাজনের দিনেও হাতে গোনা দু’এক জন ভক্তকে নিয়ে, সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে গাজন হল নানা জায়গায়। এ দিনই আবার পূর্বস্থলীর মন্দিরগুলিকে সাহায্যে এগিয়ে এসেছেন মন্ত্রী স্বপন দেবনাথ।

কাটোয়া শহরের ঘোষেশ্বরতলা শিবমন্দির, দিঘিরপাড়, খ্যাপাকালীতলা, শ্মশানঘাট, মণ্ডলহাট, দাঁইহাটের বড়কালীতলা, শবশিব মন্দির চত্বরে প্রতি বছরই গাজন উপলক্ষে ভিড় হয়। মেলা, পুজো দেখতে আসেন বহু মানুষ। কেতুগ্রাম এলাকার উদ্ধারণপুর, গোয়ালপাড়া, ঝামটপুর, গঙ্গাটিকুরি, কেতুগ্রাম, কান্দরা, মঙ্গলকোটের চৈতন্যপুর, কৈচরেও জাঁকজমক করে গাজনে মেতে ওঠেন গ্রামবাসী। কিন্তু, এ বছর প্রতিটি জায়গায় সুনসান। বেশ কিছু মন্দিরের দরজায় লেখাও দেখা যায়, করোনাভাইরাসের সংক্রমণ আটকাতে উৎসব বন্ধ রয়েছে।

গাজনের এক সন্ন্যাসী বাপ্পা মুখ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘‘আমাদের দলের অধিকাংশ লোকই বাড়িতে বসে পুজো-পাঠ করছেন। আমরা জনা তিনেক দূরত্ব বজায় রেখে মন্দিরে এসেছি।’’

জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (গ্রামীণ) ধ্রুব দাস বলেন, ‘‘গাজনে জমায়েত রুখতে মহকুমার প্রতিটি প্রান্তেই পুলিশের নজরদারি ছিল। সব জায়গাতেই দূরে-দূরে দাঁড়িয়ে কয়েকজন পুজো দিয়েছেন।’’

কালনার বেশির ভাগ মন্দিরেও দেখা নেই ভক্তদের। দেবতার ভোগ ও মন্দিরের আনুষাঙ্গিক খরচ চালাতে হিমসিম খেতে হচ্ছে, দাবি পুরোহিতদের। এই পরিস্থিতিতে পূর্বস্থলী ১ ব্লকের মন্দিরগুলির পাশে দাঁড়িয়েছেন রাজ্যের প্রাণিসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রী স্বপন দেবনাথ। রবিবার তাঁর উদ্যোগে সমুদ্রগড় এলাকার গোপাল মন্দির, সাধুর আশ্রম, সখিচরন আশ্রম, গৌড় গদাধর মন্দির, বুড়িমা মন্দির, সার্বভৌম গৌড়ীয় মঠ-সহ ১২টি জায়গায় পাঁচ কেজি করে চাল, দু’কেজি আলু, এক কেজি ডাল, ৫০০ গ্রাম পনির ও কিছু আনাজ পৌঁছে দেওয়া হয়। সামগ্রী পৌঁছে দিয়ে তৃণমূল কর্মী বাসুদেব বিশ্বাস বলেন, ‘‘মন্দিরগুলির সেবাইত এবং পুরোহিতদের জানানো হয়েছে প্রয়োজনে ভোগের জন্য আরও জিনিসপত্রের ব্যবস্থা করা হবে।’’ স্বপনবাবুও জানান, ভক্তরা না আসায় বহু মন্দির ভোগ-সহ নানা খরচ চালাতে হিমসিম খাচ্ছে। ধাপে ধাপে আরও মন্দিরে পাঠানো হবে জিনিসপত্র।

Coronavirus Health Coronavirus Lockdown
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy