বাঁ দিকে, শ্রীরামপুরে তাঁত শ্রমিক ইউনিয়নের অবরোধে অনেকের মুখ ফাঁকা। ডান দিকে, আঙ্গারসনে তৃণমূলের কর্মসূচিতেও নেই মাস্ক। নিজস্ব চিত্র
’কানে লাগানো ‘মাস্কে’র দড়ি। কিন্তু মুখে নয়, ‘মাস্ক’ রয়েছে থুতনিতে। কেউ কেউ আবার ‘মাস্ক’ ছাড়াই মাছ, আনাজের বাজারে দিব্বি ঘুরছেন। চায়ের দোকানে জমিয়ে আড্ডা দিচ্ছেন। এমনকি, রাজনৈতিক দলের কর্মসূচিতেও সামাজিক দূরত্ব, মাস্কের দেখা মিলছে না অনেক সময়েই। কালনা শহর এবং তার আশপাশ এলাকার এই ছবি বাড়াচ্ছে সংক্রমণ আরও ছড়ানোর আশঙ্কা।
শুক্রবার কালনা ২ ব্লকে মহারাষ্ট্র ফেরত এক শিশুর লালারসের নমুনা পরীক্ষায় করোনা পজ়িটিভ রিপোর্ট এসেছে। মহকুমা স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, এখনও পর্যন্ত মহকুমায় গণ্ডিবদ্ধ এলাকা চার। তার পরেও ভিড়ের চেনা ছবি বদলাচছে না। কালনার চকবাজারের মাছ বাজার সম্প্রতি ফিরে এসেছে আগের ঠিকানায়। প্রথমে মাছ বাজারের দোকানগুলিকে দু’ভাগ করে এক দিন অন্তর করে নির্দিষ্ট দূরত্ব বজায় রেখে বিক্রির অনুমোদিত দেওয়া হয়েছিল। বর্তমানে অবশ্য বিধি উড়িয়ে ছোট জায়গায় ঘেঁষাঘেষি করে চলছে দোকান। ক্রেতারাও দাঁড়াচ্ছেন গায়ে গা লাগিয়েই। সপ্তাহে দু’দিন (সোম এবং বৃহস্পতিবার) কাজ চলায় ভিড় হচ্ছে কালনা আদালত চত্বরেও। ভিড় সামলাতে মাইকে প্রচার করছেন দুর্যোগ মোকাবিলা দলের সদস্যদের। চায়ের দোকান, মিষ্টির দোকান, ফুচকার দোকানেও ভিড় জমছে।
এ দিন সিটু প্রভাবিত তাঁত শ্রমিক ইউনিয়নের একটি কর্মসূচিতে কালনা মহকুমাশাসকের কার্যালয়ের সামনে ভিড় জমান প্রায় চারশো তাঁতশ্রমিক। কালনা ২ ব্লকের আঙ্গারসনে তৃণমূলের বিক্ষোভ কর্মসূচিতেও ‘মাস্ক’ ছাড়া পাশাপাশি বসতে দেখা যায় দলের কর্মী, সমর্থকদের। একাংশ শহরবাসীর দাবি, ‘লকডাউন’ শিথিল হওয়ায় অনেকেই মনে করছেন সংক্রমণের সম্ভাবনা কমেছে। ফলে, কমেছে সচেতনতা। কালনার বাসিন্দা প্রতাপ মুখোপাধ্যায়ের রসিকতা, ‘‘আগে পকেট থেকে স্যানিটাইজ়ারের বোতল বার করলে পাশ থেকে কেউ না কেউ দু’ফোটা চাইতেন। এখন আর তেমন লোক পাওয়া যায় না।’’
কালনা মহকুমা হাসপাতাল সুপার কৃষ্ণচন্দ্র বরাই বলেন, ‘‘এমনটা চলতে থাকলে আমরাই বিপদ ডেকে আনব। করোনাভাইরাস থেকে বাঁচতে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা এবং ‘মাস্ক’, ‘স্যানিটাইজ়ার’ ব্যবহার করার কোনও বিকল্প নেই।’’ মহকুমা স্বাস্থ্য আধিকারিক চিত্তরঞ্জন দাসেরও দাবি, নতুন করে যেখানে সংক্রমণ হচ্ছে সেই এলাকা ‘কন্টেনমেন্ট জ়োন’-এ রাখা হচ্ছে। প্রয়োজন ছাড়া বাইরে না বেরোতে বলা হচ্ছে সবাইকে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy