অনুব্রতের একাধিক সম্পত্তির হদিস পাওয়া গিয়েছে বলে দাবি। ফাইল চিত্র।
গরু পাচার-কাণ্ডে বীরভূম জেলা তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলকে মঙ্গলবার জেলে গিয়ে জেরা করতে পারে সিবিআই। সূত্রের খবর, ইতিমধ্যেই আসানসোলে পৌঁছে গিয়েছে সিবিআই-এর একটি দল। সকাল ১১টা নাগাদ তৃণমূল নেতাকে জেরা করতে পারেন তদন্তকারীরা। জেরার আগে অনুব্রতের স্বাস্থ্যপরীক্ষা করানো হবে বলে জানা গিয়েছে। সিবিআই-জেরা ঘিরে আসানসোল সংশোধনাগারে তৎপরতা তুঙ্গে। আগামী ৭ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত জেল হেফাজতে রয়েছেন তৃণমূলের এই দাপুটে নেতা।
প্রসঙ্গত, গত ১১ অগস্ট সকালে বোলপুরের নিচুপট্টি এলাকায় অনুব্রতের বাড়িতে কেন্দ্রীয় বাহিনীকে সঙ্গে নিয়ে হানা দিয়েছিল সিবিআই। তার কিছু সময় পরেই গরু পাচার মামলায় তৃণমূলের এই দোর্দণ্ডপ্রতাপ নেতাকে আটক করা হয়। পরে গ্রেফতার হন অনুব্রত। এর পর যত দিন গড়িয়েছে, তৃণমূলের ‘কেষ্ট’-র একাধিক সম্পত্তির হদিস পেয়েছেন বলে দাবি করেছেন তদন্তকারীরা।
গরু পাচার-কাণ্ডে অনুব্রত ও তাঁর ঘনিষ্ঠদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে ১৬.৯৭ কোটি টাকার হদিস পাওয়া গিয়েছে বলে দাবি করেছেন কেন্দ্রীয় তদন্তকারীরা। তদন্তকারী সংস্থা সূত্রে খবর, হদিস পাওয়া বিপুল পরিমাণ টাকার অঙ্ক বিভিন্ন জেলার একাধিক ব্যাঙ্কে মূলত স্থায়ী আমানত (ফিক্সড ডিপোজিট) হিসাবে রয়েছে। পাশাপাশি কলকাতা ও বীরভূমে অনুব্রতের প্রয়াত স্ত্রী ছবি মণ্ডল ও কন্যা সুকন্যা মণ্ডলের নামে একাধিক সম্পত্তি সিবিআইয়ের আতশকাচের তলায়। বোলপুরে অনুব্রত-ঘনিষ্ঠদের নামে একাধিক চালকলেরও সন্ধান পেয়েছেন তদন্তকারীরা।
যদিও তাঁর নামে কোনও বেনামি সম্পত্তি নেই বলে সিবিআই হেফাজতে থাকাকালীন সংবাদমাধ্যমে দাবি করেছিলেন বীরভূমের এই ‘বাহুবলী’ নেতা। সিবিআই-এর তরফে দাবি করা হয়েছে যে, এটি একটি ‘বৃহত্তর ষড়যন্ত্র’। অনুব্রতের ‘প্রভাবেই’ তাঁর দেহরক্ষী সহগল হোসেন সব কাজ করেছেন বলে আদালতে দাবি করেছিল সিবিআই। এমনকি সহগলের সঙ্গে গরু পাচার-কাণ্ডে ধৃত অন্যতম মূল অভিযুক্ত এনামুল হকের যোগ রয়েছে বলেও দাবি করেছে তদন্তকারী সংস্থা। এই মামলায় আগেই গ্রেফতার করা হয়েছে সহগলকে। তিনিও আসানসোল জেলে বন্দি রয়েছেন। এই প্রেক্ষাপটে জেলে গিয়ে অনুব্রতকে সিবিআই-এর জেরায় নয়া কোনও তথ্য উঠে আসতে পারে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy