Advertisement
E-Paper

১৫ বাড়িতে ফাটল, ক্ষোভ

এলাকাবাসী জানান, রাত ২টো নাগাদ তীব্র আওয়াজে ঘুম ভাঙে। দেখা যায়, এলাকার সংযোগকারী রাস্তার একাংশে ও এলাকার তুলসি মন্দিরে ফাটল ধরেছে।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৭ জুলাই ২০১৯ ০০:১৮
এমনই ফাটল বাড়িতে। নিজস্ব চিত্র

এমনই ফাটল বাড়িতে। নিজস্ব চিত্র

পনেরোটি বাড়িতে ফাটল ধরেছে। জামুড়িয়ার এবিপিট শিবমন্দির এলাকার ঘটনা। এলাকাবাসীর আশঙ্কা, দ্রুত পুনর্বাসন না পাওয়া গেলে বিপদ আরও বাড়তে পারে।

এলাকাবাসী জানান, রাত ২টো নাগাদ তীব্র আওয়াজে ঘুম ভাঙে। দেখা যায়, এলাকার সংযোগকারী রাস্তার একাংশে ও এলাকার তুলসি মন্দিরে ফাটল ধরেছে। এর পরে শুক্রবার সকাল থেকে দুপুর ২টো পর্যন্ত পনেরোটি বাড়ির দেওয়ালে ফাটল দেখা দেয়। স্থানীয় বাসিন্দা রামস্বরূপ পাসোয়ান, রাজু পাসোয়ান, অশোক পাসোয়ান প্রমুখ জানান, বাড়ির নানা অংশে ফাটল ধরেছে। অনেকেই বাড়ি ছেড়ে আত্মীয়দের বাড়িতে আশ্রয় নিয়েছেন।

সিটু নেতা মনোজ দত্ত জানান, অদূরে ইসিএলের ভূগর্ভস্থ খনি বন্ধ হয়ে গিয়েছে প্রায় দু’ দশক আগে। তাঁর অভিযোগ, খনি বন্ধ হলেও সেখানে অবৈধ কয়লার কারবার চালাচ্ছে দুষ্কৃতীরা। এই পরিস্থিতিতে এলাকাটি ধসপ্রবণ হয়ে উঠেছে। মনোজবাবুর অভিযোগ, ইসিএল শিল্পক্ষেত্র রক্ষায় উদ্যোগী হয়নি। খনিগর্ভে বালিও ভরাট করেনি ইসিএল। তৃণমূল নেতা তথা আসানসোল পুরসভার মেয়র পারিষদ (জল) পূর্ণশশী রায় জানান, তাঁরা ইসিএলের লাগোয়া শ্রীপুর এরিয়া কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি জানিয়েছেন। প্রয়োজনে আসানসোল পুরসভা অস্থায়ী পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করবে। কিন্তু স্থায়ী পুনর্বাসন ইসিএল-কেই দিতে হবে।

ইসিএলের সিএমডি-র কারিগরি সচিব নীলাদ্রি রায় অবশ্য বলেন, ‘‘ওই এলাকায় বেসরকারি আমলেও কয়লা কাটা হয়েছে। এলাকাটিকে বিপজ্জনক হিসেবে অনেক আগেই ঘোষণা করা হয়েছে।’’

Jamuria TMC SITU
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy