ফের কুমির দেখা গেল কালনার ভাগীরথীতে। মঙ্গলবার বিকেলে কালনা ফেরিঘাটের কাছে জাপট এলাকায় নদীর স্রোতের মধ্যে ভেসে চলা একটি ছয় ফুট লম্বা কুমির দেখে আতঙ্ক ছড়ায় এলাকায়। বন দফতর জানিয়েছে, এটি মগর প্রজাতির কুমির। এ নিয়ে দু’মাসে দু’টি কুমির দেখা গেল কালনায়।
লাগাতার বৃষ্টির জেরে জল বেড়েছে ভাগীরথীতে। বিকেল ৩টে নাগাদ জাপট এলাকার এক বাসিন্দা স্রোতের মধ্যে একটি লম্বা প্রাণীকে ভেসে যেতে দেখেন। দ্রুত নিজের মোবাইলে ২৭ সেকেন্ডের একটি ভিডিয়ো তুলে ফেলেন। সেটি সমাজমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। আতঙ্ক তৈরি হয় গোটা এলাকায়। অনেকে কুমির এসেছে বলে সাবধান করা শুরু করেন এলাকাবাসীকে। কেউ আবার সেটিকে ঘড়িয়াল বলে মনে করেন। তবে কাটোয়া রেঞ্জের বন দফতর নিশ্চিত করে, সেটি কুমিরই।
রেঞ্জার শিবপ্রসাদ সিংহ জানান, ভিডিয়ো দেখে নিশ্চিত হওয়া গিয়েছে, এটি মগর প্রজাতির কুমির। এরা সাধারণত শান্ত স্বভাবের হয়। মাছ ও জলজ প্রাণী খেয়ে থাকে। তবে মানুষকে সতর্ক থাকতে হবে। কুমিরটির গতিপথে নজরদারি চলছে। বন দফতরের হিসাব অনুযায়ী, ভাগীরথীতে কুমিরের আনাগোনা বাড়ছে। ২০২২ সাল থেকে এখনও পর্যন্ত মোট ৬টি কুমিরের দেখা মিলেছে। এর মধ্যে কালনার জাপট ও অগ্রদ্বীপের কালিকাপুর এলাকা থেকে দু’টি কুমিরকে উদ্ধারও করা হয়েছে। জাপট এলাকায় লোকালয়ে ঢুকে পরেছিল একটি।
বন দফতরের অনুমান, বর্ষায় নদীর চর ও পাড় ডুবে যাওয়ায় কুমিরেরা বাসস্থান হারিয়ে মূল স্রোতের দিকে চলে আসছে। দফতরের এক কর্তার কথায়, “ওরা এক টানা সাঁতার কাটে না। খাবারের খোঁজে নদীর ধার ঘেঁষে উঠে পড়তে পারে। ভাগীরথীর স্রোত ওদের গতিতে সাহায্য করে। এটা ভাল লক্ষণ যে ভাগীরথী তাদের জন্য উপযুক্ত পরিবেশ হয়ে উঠছে। তবে মানুষকে সব সময় সতর্ক থাকতে হবে।” স্থানীয় বাসিন্দা সুখেন সরকার বলেন, “প্রতি দিন ভাগীরথীতে স্নান করি। তবে এখন কুমির দেখা যাওয়ায় কয়েক দিন আর ও দিকে যাব না।”
এই খবরটি পড়ার জন্য সাবস্ক্রাইব করুন
5,148
1,999
429
169
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)