আসানসোলের কোলিয়ারিতে কাজ করার সময় দুর্ঘটনায় আহত হয়ে তিন মাস ধরে চিকিৎসাধীন ছিলেন শ্রমিক। রবিবার হাসপাতালেই মৃত্যু হল তাঁর। তার পর থেকেই দেহ আটকে রেখে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেছে নিহত শ্রমিকের পরিবার। রবিবার রাত থেকে ৩০ ঘণ্টার বেশি সময় পেরিয়ে গেলেও কোলিয়ারির দফতরের সামনে দেহ রেখে এখনও বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন তাঁরা।
আরও পড়ুন:
স্থানীয় সূত্রে খবর, নিহত শ্রমিকের নাম কেদার পান। আসানসোলের কুলটির বরাকরের রামনগরে স্টিল অথরিটি অফ ইন্ডিয়া লিমিটেড (সেল)-এর কোলিয়ারিতে কর্মরত ছিলেন তিনি। গত ১৬ ফেব্রুয়ারি কেদার কর্মক্ষেত্রে এক দুর্ঘটনায় গুরুতর আহত হন। সঙ্গে সঙ্গে তাঁকে উদ্ধার করে প্রাথমিক চিকিৎসার জন্য স্থানীয় স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য ভর্তি করানো হয় কলকাতার এক বেসরকারি হাসপাতালে। সেই থেকে হাসপাতালেই ভর্তি ছিলেন ওই শ্রমিক।
রবিবার তিন মাসের লড়াই শেষে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় কেদারের মৃত্যু হয়। ময়নাতদন্তের পর সোমবার দেহ পাঠানো হয় রামনগরে। তার পর থেকেই নিহতের পরিবার ও স্থানীয়েরা দেহ কোলিয়ারি অফিসের সামনে রেখে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন। কোলিয়ারির দফতরের বাইরে মৃতদেহ রেখে সোমবার রাতভর অবস্থান বিক্ষোভ দেখিয়েছেন মৃতের পরিজনেরা। মঙ্গলবার সকাল পর্যন্তও আন্দোলন চলছে। রয়েছেন বিভিন্ন রাজনৈতিক শ্রমিক সংগঠনের প্রতিনিধিরাও। তাঁদের দাবি, মৃতের পরিবারের কোনও সদস্যকে অবিলম্বে চাকরি দিতে হবে কর্তৃপক্ষকে।