পূর্ব বর্ধমানে বিজেপির সভায় বক্তব্য রাখছেন দিলীপ ঘোষ। নিজস্ব চিত্র।
কৃষকদের আর্থিক সাহায্য, স্বাস্থ্যসাথী কার্ড থেকে তৃণমূল নেতাদের ক্ষোভ— একাধিক ইস্যুতে তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে আক্রমণ করলেন বিজেপি-র রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। মঙ্গলবার পূর্ব বর্ধমানের কুড়মুনের হাটতলায় বিজেপি-র জনসভা ছিল। সেখানেই দিলীপ এই আক্রমণ শানান। জনসভায় তাঁর সঙ্গে ছিলেন বিজেপি নেতা সুনীল মণ্ডল, বালুরঘাটের সাংসদ সুকান্ত মজুমদার, বিজেপি-র জেলা সভাপতি সন্দীপ নন্দী এবং রাজ্য সহ-সভাপতি রাজু বন্দ্যোপাধ্যায়ও।
দিলীপ বলেন, “দেশের ৯ কোটির বেশি কৃষক ১৪ হাজার কোটি টাকা পেয়েছেন। আমরা আন্দোলন করেছি বলে এখন মুখ্যমন্ত্রীও মানতে বাধ্য হয়েছেন। তবে মুখ্যমন্ত্রী চাইছেন কৃষকদের অ্যাকাউন্টে নয়, টাকা দিতে হবে তাঁর হাতে। কিন্তু তা হলে ওই টাকা কাটমানি হয়ে যাবে।”
আমপানে দুর্নীতিরও অভিযোগ তোলেন দিলীপ। স্বাস্থ্যসাথী কার্ড প্রসঙ্গে তাঁর দাবি, আসলে কিছুই হবে না। সবই মিথ্যা প্রতিশ্রুতি। স্কুলে নিয়োগ, বিশ্বভারতী ইস্যুতেও তৃণমূলের সমালোচনা করেন দিলীপ।
লক্ষ্মীরতন শুক্লের পদত্যাগ প্রসঙ্গে দিলীপের কটাক্ষ, ‘প্রতি দিনই উইকেট পড়ছে। ফোন এলেই তৃণমূল নেত্রী ভাবছেন আবার কেউ পদত্যাগ করেছেন। আর তৃণমূল নেত্রী ভাবছেন রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় পদত্যাগ করবেন না। রাজীব তো তাঁর খাঁটি লোক।’ অন্য দিকে, প্রশান্ত কিশোর এবং তাঁর সংস্থাকে কটাক্ষ করেন সাংসদ সুনীল মণ্ডল । তাঁর দাবি, শুভেন্দু এবং তিনি বাংলায় তৃণমূলের বিদায় ঘণ্টা বাজিয়ে দিয়েছেন।
বিজেপি নেতাদের আক্রমণের পাল্টা জবাব দিয়েছেন পূর্ব বর্ধমান জেলা পরিষদের সহ-সভাধিপতি দেবু টুডু। পাল্টা বলেন, “কেন্দ্রের বিজেপি সরকার একটা চিটিংবাজ সরকার। ওরা ভাবছে বাংলাকে গুজরাত বা উত্তরপ্রদেশ বানাবে। বাংলার মতো কোথায় এত উন্নতি হয়েছে? গোটা দেশে কোথাও হয়নি।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy