সোমবার দুপুরে চলছে পরিদর্শন। নিজস্ব চিত্র
ধস কবলিত বিসিসিএল-এর দামাগড়িয়া চাপতোড়িয়া খোলামুখ খনি পরিদর্শন করল ডিরেক্টর জেনারেল অব মাইনস সেফটি-র (ডিজিএমএস) বিশেষজ্ঞ দল। সোমবার দুপুরে খনি কর্তৃপক্ষকে সঙ্গে নিয়ে বিশেষজ্ঞ দলটির সদস্যেরা ধস কবলিত এলাকা পরীক্ষা করেন। পরে খনি কর্তৃপক্ষের সঙ্গে বৈঠক করে প্রয়োজনীয় পরামর্শও দেওয়া হয়। এ দিন অবশ্য নতুন করে আর কোনও ধস নামেনি বলে খনি কর্তৃপক্ষ সূত্রে দাবি করা হয়েছে।
রবিবার ভোর সাড়ে ৬টা নাগাদ রাষ্ট্রায়ত্ত কয়লা উত্তোলক সংস্থা বিসিসিএল-এর দামাগড়িয়া চাপতোড়িয়া খোলামুখ খনিতে ধস নামে। এর পরে, এ দিন দুপুরে বিসিসিএল-এর চাঁচ-ভিক্টোরিয়া এরিয়ার জেনারেল ম্যানেজার প্রণবকুমার মিশ্র-সহ কয়েক জন আধিকারিককে সঙ্গে নিয়ে ডিরেক্টর জেনারেল মাইনস সেফটি-র (ডিজিএমএস) তিন জনের একটি বিশেষজ্ঞ দল ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে। প্রায় দু’ঘণ্টা ধরে তাঁরা ধস কবলিত এলাকা পরীক্ষা করেন। ডিজিএমএস-এর ডেপুটি ডিরেক্টর বিনোদ রজক বলেন, “এই খনিতে এখন কাজ হচ্ছে না। তাই শ্রমিক নিরাপত্তার বিষয়ে তেমন কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়ার প্রয়োজন নেই। তবে কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ করার জন্য খনি কর্তৃপক্ষকে পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। পরে সেগুলি খতিয়ে দেখা হবে।” তিনি এ দিন জানান, খনি সূত্রে জানা গিয়েছে, অবৈধ খননের জেরে ধস নেমেছে। এ বিষয়ে ডিজিএমএস-এর কোনও বক্তব্য নেই। তবে, দুর্ঘটনা এড়াতে খোলামুখ খনির চারপাশে কাঁটা তারের বেড়া দেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
জেনারেল ম্যানেজার প্রণবকুমার মিশ্র এ দিন কোনও মন্তব্য করেননি। তবে খনি কর্তৃপক্ষ সূত্রে জানা গিয়েছে, রবিবারের ধসে খনির একটি রাস্তা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। সোমবার চওড়া ফাটলও দেখা গিয়েছে সেখানে। ফলে, ওই রাস্তা ধরে সিআইএসএফ-এর টহলদার গাড়ি খনিতে রাতপাহারা দেওয়ার জন্য যাতায়াত করতে পারছে না। রবিবার ধসের পর ক্ষতিগ্রস্ত অঞ্চলটি বুজিয়ে দেবার কথা জানানো হয়েছিল। কিন্তু ঘটনাস্থলে যাওয়ার রাস্তাটিতে রাতে ফাটল ধরায় বোজানোর কাজে হাত পড়েনি। তবে খনি কর্তৃপক্ষ সূত্রে জানা গিয়েছে, খনিতে কয়লা উত্তোলনের জন্য একটি ঠিকা সংস্থাকে নতুন করে ঠিকা দেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। তাই কাজ শুরু করার আগে খনিতে অবৈধ খননকারীরা যে ‘র্যাটহোলগুলি’ তৈরি করেছে, শ্রমিক-নিরাপত্তার স্বার্থে সেগুলি ধসিয়ে দেওয়া হবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy