আউশগ্রামে শিবিরের প্রথম দিনে। নিজস্ব চিত্র
প্রথম দিনেই ভাল সাড়া মিলেছে ‘দুয়ারে ডাক্তার’ প্রকল্পে, এমনই দাবি প্রশাসনের একাংশের। বৃহস্পতিবার আউশগ্রাম ২ ব্লকের রামনগর প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্র লাগোয়া মাঠে জেলায় প্রথম এই প্রকল্প শুরু হয়। আজ, শুক্রবার পর্যন্ত শিবির চলবে। তবে এই প্রকল্পের মাধ্যমে তাৎক্ষণিক চিকিৎসা পরিষেবা মিললেও, এটা স্থায়ী সমাধান নয় বলে দাবি করেছেন স্থানীয় বাসিন্দাদের একাংশ।
এ দিন শিবিরে উপস্থিত ছিলেন আউশগ্রাম ২ পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি সৈয়দ হায়দার আলি, জেলার ডেপুটি সিএমওএইচ (২) সুবর্ণ গোস্বামী, ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিক (আউশগ্রাম ২) সজীব বিশ্বাস। ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিক বলেন, ‘‘অস্থি, নাক-কান-গলা, চক্ষু, দাঁত, স্ত্রীরোগ, চর্মরোগ, শিশু রোগের মতো ন’টি বিভাগে বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের ৩০ জনের বেশি বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক এসেছিলেন। রক্ত পরীক্ষা করা হয়। ওষুধও দেওয়া হয়। এলাকার ছশো রোগী শিবিরে হাজির ছিলেন।’’
রামনগর প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রের পরিকাঠামোর উন্নয়ন ঘটিয়ে স্থায়ী চিকিৎসক দেওয়ারও দাবি জানান এলাকার অনেকেই। স্থানীয় বাসিন্দা পদ্মনাভ বন্দ্যোপাধ্যায়, কর্ণ পাল, কৃষ্ণ দাস, সর্বেশ্বর লোহার, গদাধর পাল, সাধন বাউড়িরা বলেন, ‘‘এখানকার স্বাস্থ্যকেন্দ্রে এক জন মাত্র চিকিৎসক সপ্তাহে তিন দিন করে বসেন। বাকি দিনগুলি কম্পাউন্ডার থাকেন। এই শিবিরে এলাকার মানুষ সাময়িক ভাবে উপকৃত হলেও এটা স্থায়ী সমাধান নয়। আমাদের কোনও অসুখ হলে প্রায় ১০ কিলামিটার দূরে বননবগ্রাম ব্লক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে বা ১৬ কিমি দূরে বোলপুরের সিয়ান হাসপাতালে যেতে হয়। সেখান থেকে আবার বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে রেফার করা হয়।’’ সাপে কাটা, ডায়েরিয়া, লাইগেশন অস্ত্রোপচারের মতো চিকিৎসা পরিষেবা মিললে খুবই উপকার হত, দাবি তাঁদের। তৃণমূলের রামনগর অঞ্চল সভাপতি আসগর শেখ বলেন, ‘‘রামনগর প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রের পরিকাঠামোর উন্নয়ন, স্থায়ী চিকিৎসক দেওয়ার জন্য প্রশাসনের বিভিন্ন মহলে আবেদন জানানো হয়েছে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy