Advertisement
E-Paper

খুনের অভিযোগে স্বামী-সহ আটক তিন

ঝুমকা মজুমদার (২৮) নামে ‘নিহত’ ওই বধূর স্বামীর বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগ করেছেন যুবতীর বাপেরবাড়ির লোকজন। তার ভিত্তিতে বধূর স্বামী এবং তাঁর দুই বন্ধুকে আটক করে জেরা করা হচ্ছে বলে পুলিশ জানায়

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৩ অগস্ট ২০২০ ০৪:২৪
প্রতীকী ছবি

প্রতীকী ছবি

পুলিশ শুক্রবার রাতে দুর্গাপুরের ডিএসপি টাউনশিপের নেতাজি সুভাষ রোড এলাকার একটি আবাসন থেকে এক যুবতীর দেহ উদ্ধার করে। ঝুমকা মজুমদার (২৮) নামে ‘নিহত’ ওই বধূর স্বামীর বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগ করেছেন যুবতীর বাপেরবাড়ির লোকজন। তার ভিত্তিতে বধূর স্বামী এবং তাঁর দুই বন্ধুকে আটক করে জেরা করা হচ্ছে বলে পুলিশ জানায়। দেহের গলায় দাগ দেখে তদন্তকারীদের প্রাথমিক অনুমান, ওই যুবতীকে শ্বাসরোধ করে খুন করা হয়ে থাকতে পারে।

বছর দশেক আগে বাঁকুড়ার বড়জোড়া থানার মাঝের মানার পল্লিশ্রী কলোনির ঝুমকার বিয়ে হয় দুর্গাপুরে। শনিবার সকালে ঝুমকার পরিবারের লোকজন দুর্গাপুর থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। তাঁর বাবা মণীন্দ্র মিস্ত্রির অভিযোগ, ‘‘বিয়ের পরে থেকেই মেয়েকে নানা ভাবে অত্যাচার করত জামাই। মেয়েকে খুন করা হয়েছে।’’

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ডিএসপি-র আবাসনে ঝুমকাদেবী স্বামী এবং আট বছরের মেয়ের সঙ্গে থাকতেন। পুলিশের দাবি, পড়শিদের সূত্রে তারা জানতে পেরেছে, ঝুমকাদেবীর স্বামী প্রায়ই বাড়িতে বন্ধুদের এনে হুল্লোড় করতেন। তা নিয়ে মাঝেমধ্যে ওই দম্পতির মধ্যে অশান্তি হত। শুক্রবার সন্ধ্যায় ওই আবাসন থেকে অশান্তির আওয়াজ শোনা গিয়েছে বলে পড়শিদের একাংশ পুলিশকে জানান।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ওই রাতে প্রথমে একটি অ্যাম্বুল্যান্স আসে। কিন্তু চালক অ্যাম্বুল্যান্স ফেলে চম্পট দেন। ঘটনার খবর পেয়ে পৌঁছন ১০ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলর রাজীব ঘোষ। পড়শিদের সঙ্গে নিয়ে তিনি ওই বাড়ির ভিতরে ঢুকে দেখেন, সব জিনিসপত্র ছড়ানো রয়েছে। দেহের পাশে পড়ে রয়েছে ওড়না। সংবাদমাধ্যমের কাছে কাউন্সিলরের দাবি, ‘‘ওড়না দিয়েই সম্ভবত ঝুমকাকে গলায় ফাঁস দিয়ে শ্বাসরোধ করে খুন করা হয়েছে। ওঁর স্বামীর বিরুদ্ধে অসামাজিক কাজকর্মে জড়িত থাকার অভিযোগ রয়েছে।’’

এ দিকে, ওই অ্যাম্বুল্যান্স চালক পুলিশকে জানান, তাঁকে ফোন করে ডাকা হয়। তিনি পৌঁছে দেখেন, মেঝেতে ঝুম্পার দেহ পড়ে রয়েছে। বাড়িতে আর কেউ নেই। ভয়ে তিনি অ্যাম্বুল্যান্স ফেলে পালান। পুলিশ দেহটি ময়না-তদন্তের জন্য দুর্গাপুর মহকুমা

হাসপাতালে পাঠায়।

ডিসি (পূর্ব) অভিষেক গুপ্ত বলেন, ‘‘সব দিক খতিয়ে দেখে তদন্ত চলছে।’’ পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, শুক্রবার সন্ধ্যায় ওই বাড়িতে বধূর স্বামীর দুই বন্ধু গিয়েছিলেন। তাঁদেরও আটক করে জেরা করা হচ্ছে।

Murder Dead Body Crime Durgapur
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy