Advertisement
৩০ এপ্রিল ২০২৪
Minakshi Mukherjee

কেন্দ্র-রাজ্য উদাসীন, তাপবিদ্যুৎ নিয়ে তোপ মীনাক্ষীর

কেন্দ্রীয় সংস্থা এনটিপিসি-র হাতে চলে যায়। এখন কেন্দ্রীয় সব সংস্থাই বেচতে চাইছে বিজেপি সরকার। তাদেরও উদাসীনতাতেই কাটোয়ার প্রকল্প হয়নি।

কেতুগ্রাম ও

কাটোয়ায় ইনসাফ যাত্রা। ছবি: অসিত বন্দ্যোপাধ্যায়।

নিজস্ব সংবাদদাতা
কেতুগ্রাম, ভাতার শেষ আপডেট: ২৪ নভেম্বর ২০২৩ ০৯:৪৬
Share: Save:

কাটোয়ায় তাপবিদ্যুৎ প্রকল্প বাস্তবায়নের দাবিকে হাতিয়ার করে রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে তোপ দাগলেন সিপিএমের যুবনেত্রী মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায়। পাশাপাশি, কর্মসংস্থান ও ফসলের ন্যায্যদামের মতো দাবিগুলিকে সামনে রেখে যুব সম্প্রদায় ও কৃষকদেরমনে দাগ কাটার চেষ্টাও করলেন তিনি। বৃহস্পতিবার সকাল ১০টা নাগাদ বীরভূম থেকে পূর্ব বর্ধমানে ঢোকে সিপিএমের যুব সংগঠন ডিওয়াইএফের
‘ইনসাফ যাত্রা’।

কেতুগ্রাম ও ভাতারের ছ’জায়গায় সভা করে তারা। কেতুগ্রামে একটি সভায় ডিওয়াইএফের রাজ্য সম্পাদক মীনাক্ষীর অভিযোগ, “রাজ্যে দিনের পর দিন বেকারের সংখ্যা বেড়ে চলেছে। কেন্দ্র ও রাজ্যের উদাসীনতার জন্যই কাটোয়ায় তাপবিদ্যুৎ প্রকল্প হচ্ছে না। প্রকল্প হলে এলাকার অর্থনৈতিক পরিকাঠামোর ব্যাপক উন্নতি হত। হাজার হাজার বেকার ছেলের স্বপ্নপূরণ হত। কিন্তু, কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারের উদাসীনতার জন্য প্রকল্প আটকে রয়েছে।’’ এ নিয়ে সিপিএমকে পাল্টা বিঁধে পূর্ব বর্ধমান জেলা তৃণমূল সভাপতি তথা কাটোয়ার বিধায়ক রবীন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায়ের মন্তব্য, ‘‘সিপিএম-ই কাটোয়ায় তাপবিদ্যুৎ প্রকল্প নিয়ে মানুষকে ভাঁওতা দিয়েছিল। তহবিল না থাকা সত্ত্বেও প্রকল্প হাতে নিয়েছিল। ফলে পরে প্রকল্প কেন্দ্রীয় সংস্থা এনটিপিসি-র হাতে চলে যায়। এখন কেন্দ্রীয় সব সংস্থাই বেচতে চাইছে বিজেপি সরকার। তাদেরও উদাসীনতাতেই কাটোয়ার প্রকল্প হয়নি। তৃণমূল চায়, জমি এনটিপিসি-র থেকে নিয়ে নিজেরাই প্রকল্প গড়ুক রাজ্য সরকার।’’

একটি সভায় মীনাক্ষী অভিযোগ করেন, ‘‘কৃষকেরা মাথার ঘাম পায়ে ফেলে চাষ করছেন। অথচ উৎপাদিত ফসলের ন্যায্য মূল্য পাচ্ছেন না। সব দিক থেকেই রাজ্য সরকার ব্যর্থ। এই রাজ্যে শুধু সিন্ডিকেটের রমরমা বাজার চলছে। শাসক দলের খুদেদেরও আঙুল ফুলে কলাগাছ হয়ে গিয়েছে।’’ এ নিয়ে রবীন্দ্রনাথের কটাক্ষ, ‘‘সিপিএম ৩৪ বছর ক্ষমতায় থেকে বাংলাকে শ্মশানে পরিণত করে দিয়েছিল। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ফের সোনার বাংলা গড়ে তুলছেন। রাজ্যে একের পর এক জনমুখী প্রকল্প চালু রয়েছে। মানুষ উপকৃত হচ্ছেন। সিপিএমকে এখন কেউ গুরুত্ব দেয় না। তাই এ সব কথা বলে প্রচারের আলোয় থাকতে চাইছে ওরা।’’

কেতুগ্রামের কান্দরা থেকে ডিওয়াই এফ কর্মীরা ছ’কিলোমিটার হেঁটে নিরোল গ্রামে আসেন। সেখানেও একটি সভায় বক্তৃতা করেন মীনাক্ষী। পরে পাচুন্দি এবং কেতুগ্রামের চরখি হয়ে কাটোয়া-বর্ধমান রোড ধরে শ্রীখণ্ড গ্রামে ঢোকে ‘ইনসাফ যাত্রা’। সেখান থেকে বলগোনা হয়ে ভাতার চলে যান পদযাত্রীরা। একটি সভায় সংগঠনের কর্মীদের সাহস জুগিয়ে মীনাক্ষী বলেন, ‘‘ভয় পাওয়ার কিছু নেই। আমরা গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে সাধারণ মানুষের ন্যায্য অধিকারের দাবিতে আন্দোলন করছি।”

বলগোনা বাজারের সভায় চোখেপড়ার মতো ভিড় হয়েছিল। মীনাক্ষীরে বলতে শোনা যায়, ‘‘আজ ট্রেলার দেখালাম। আসল সিনেমাটা দেখাব ব্রিগেডে।’’ বলগোনা থেকে ভাতার পর্যন্ত সাত কিমি পথ হাঁটেন পদযাত্রীরা। ভাতারেই এ দিনের মতো শেষ হয় ইনসাফ যাত্রা।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

DYFI ketugram Bhatar
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE