ভাইকে গুলি করে খুনের অভিযোগে মহম্মদ হায়দার আনসারি নামে এক যুবককে গ্রেফতার করল পশ্চিম বর্ধমানের জামুড়িয়া থানা। পুলিশ জানায়, নিহতের নাম মহম্মদ সফদর আনসারি (৩৩)। ঘটনার নেপথ্যে পারিবারিক বিবাদ থাকতে পারে বলে প্রাথমিক তদন্তে অনুমান পুলিশের। বুধবার শ্রীপুর গ্রাম লাগোয়া নাজিরপাড়ার ঘটনা।
পুলিশ ও স্থানীয় সূ্ত্রে জানা গিয়েছে, পেশায় ইসিএলের কর্মী মহম্মদ আকবর আনসারির পাঁচ ছেলে একই বাড়িতে আলাদা ভাবে থাকেন। পারিবারিক সূত্রে জানা গিয়েছে, হায়দার ও তাঁর স্ত্রীর মধ্যে অশান্তি চলছিল। সে সময় সফদর তাঁদের অশান্তি থামাতে যান। তখন হায়দারের সঙ্গে সফদরের বচসা বাধে। অভিযোগ, এর পরেই, হায়দার বাড়ির পাশে তাঁর স্টেশনারি দোকান থেকে আগ্নেয়াস্ত্র এনে পর পর তিনটি গুলি ছোড়েন। তার মধ্যে সফদরের পিঠে এবং মাথায় দু’টি গুলি লাগে। প্রত্যক্ষদর্শীদের একাংশ পুলিশকে জানিয়েছেন, পিঠে লাগা গুলি সফদরকে এফোঁড়-ওফোঁড় করে দেয়। এর পরেই, পরিবারের লোকজন হায়দারকে আটকে রেখে সফদরকে আসানসোল জেলা হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন। সেখানেই তাঁর দেহের ময়না-তদন্ত করানো হয়।
হায়দারের বড় দাদা মহম্মদ আসগর আনসারি বলেন, “হায়দার প্রচণ্ড বদমেজাজি। প্রায়ই স্ত্রীর সঙ্গে অশান্তি করত। সে জন্য আমরা চার ভাই সব সময় বিব্রত থাকতাম। পরিস্থিতি সামাল দিতে আমাদের বাড়ির পাশেই বাবা হায়দারকে একটি আলাদা বাড়িও করে দিচ্ছিলেন।”